?????? ২৪ নভেম্বর, ২০২২ ০৩:৫২

কণ্ঠের জাদুকরকে হারানোর ৫ বছর আজ

বিনোদন ডেস্ক: বাংলার কিংবদন্তি কণ্ঠের জাদুকর বারী সিদ্দিকীকে হারিয়েছি আজ ৫বছর হলো। তার জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে গিয়েছিল শহর থেকে গ্রাম, সবখানে বিশুদ্ধ বাতাসের মতো। কিন্তু সেই সুর গেঁথে যেত মানুষের হৃদয়ে। আজ (২৪ নভেম্বর) কিংবদন্তি শিল্পীর চলে যাওয়ার দিন।

দেশের লোকসংগীতে অসামান্য শূন্যতা তৈরি করে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি। ২০১৭ সালের এই দিনে ভক্তদের কাঁদিয়ে চলে গেছেন তিনি।

১৯৫৪ সালের ১৫ নভেম্বর নেত্রকোনায় জন্মগ্রহণ করেন বারী সিদ্দিকী। ওস্তাদ গোপাল দত্ত, আমিনুর রহমান, দবির খান, পান্নালাল ঘোষসহ অসংখ্য গুণী শিল্পীর সান্নিধ্য লাভ করেন তিনি। ভারতে গানের তালিম নেওয়া এই শিল্পী বাঁশির ওপর উচ্চাঙ্গসংগীতে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। ১৯৮০ সাল থেকে টানা দুই দশক তিনি বাঁশি বাজিয়ে বিশ্ব জয় করেছেন তিনি। তিনি যখন বাঁশি বাজাতেন, সামনে থাকা শ্রোতাদের হৃদয় শীতল হয়ে চোখের সীমানা বেয়ে নেমে আসত জল। 

গায়ক হিসেবে বারী সিদ্দিকী পরিচিতি পান নন্দিত কথাসাহিত্যিক ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদের মাধ্যমে। তার পরিচালিত ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ সিনেমায় গান করেই দেশব্যাপী জনপ্রিয়তা পান বারী। এরপর তার বেশ কিছু অ্যালবাম প্রকাশিত হয়। এর মধ্যে রয়েছে- ‘দুঃখ রইলো মনে’, ‘অপরাধী হইলেও আমি তোর’, ‘সরলা’, ‘ভাবের দেশে চলো’, ‘সাদা রুমাল’, ‘মাটির মালিকানা’, ‘মাটির দেহ’, ‘মনে বড় জ্বালা’, ‘প্রেমের উৎসব’, ‘ভালোবাসার বসত বাড়ি’, ‘নিলুয়া বাতাস’ ও ‘দুঃখ দিলে দুঃখ পাবি’।

বারী সিদ্দিকীর গাওয়া কালজয়ী গানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ‘শুয়া চান পাখি’, ‘আমার গায়ে যত দুঃখ সয়’, ‘সাড়ে তিন হাত কবর’, ‘রজনী’, ‘আমি একটা জিন্দা লাশ’, ‘পুবালি বাতাসে’, মানুষ ধরো মানুষ ভজো’ ও ‘আমার মন্দ স্বভাব জেনেও’ ইত্যাদি।

আমাদের কাগজ//জেডআই