সারাদেশ ৪ ডিসেম্বর, ২০২২ ১০:৪৪

দেউলিয়া হওয়ার আতঙ্কে গ্রাহকেরা; ব্যাংক আমানত সুরক্ষা ফেরালেন যেভাবে

ছবি - সংগৃহীত

ছবি - সংগৃহীত

আমাদের কাগজ ডেস্কঃ বিশ্ববাজারে চলছে অর্থনীতির মন্দা। ইতিমধ্যে কিছু দেশ দেউলিয়াও ঘোষণা করেছেন এরই মধ্যে। তালিকার বাইরে নেই বাংলাদেশও। জ্বালানী তেল সহ এখন নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন। এরই মধ্যে গুঞ্জন উঠেছে, দেশে আসতে চলেছে দুর্ভিক্ষের আচর, শুরু হতে পারে খাদ্য সংকট।

এমত অবস্থাতে বেকায়দায় পড়েছে দেশের ব্যাংক প্রতিষ্ঠান গুলো। ব্যাংকে টাকা নেই—এমন একটি প্রসঙ্গ আলোচনায় আসার পর গ্রাহকেরা আতঙ্কে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা তুলে নেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।

 

তিনি বলেছেন, ‘ব্যাংকে টাকা নেই, এটা বলার পর সত্যিকারের একটা ইমপ্যাক্ট হয়েছিল। প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা মানুষ উইথড্র করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক কিন্তু তাতে বাধা দেয়নি। এখন সবাই টের পেয়েছে, আরে! এটা তো ভুল করেছি। এখন সবাই টাকা ফেরত দিতে শুরু করেছে। আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখেন। এখন কিন্তু সবাই আবার ফেরত দিচ্ছে।’ বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) তিন দিনব্যাপী বার্ষিক উন্নয়ন সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে গতকাল আমন্ত্রিত অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর গুলশানে লেকশোর হোটেলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

আইএমএফের লোন প্রসঙ্গে মুখ্য সচিব বলেন, ভালো গ্রাহকদের ডেকে ডেকে ঋণ দেয় ব্যাংক। কয়েক মাস আগে আইএমএফের নিয়মিত একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে এসেছিল। তখন তারাই বাংলাদেশকে ঋণ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। যেহেতু ডলার নিয়ে একটা অস্থিরতা চলছে, তাই বাংলাদেশ আইএমএফের ঋণ নিতে রাজি হয়েছে।


অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী বলেন, মানুষ ব্যাংকে টাকা রাখতে ভয় পাচ্ছে। কারণ, ব্যাংক আয়করের সনদ চাচ্ছে। এসব কারণে ব্যাংকে টাকা নেই। মানুষ বালিশের নিচে টাকা রাখছে।

বিআইডিএসের মহাপরিচালক বিনায়ক সেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাপনী অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। আরও বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, পরিকল্পনা সচিব মো. মামুন আল রশীদ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শরিফা খান, সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান, বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ও মোস্তাফিজুর রহমান, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) চেয়ারম্যান জায়েদী সাত্তার, ভাইস চেয়ারম্যান সাদিক আহমেদ, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দীন, ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) নির্বাহী পরিচালক ইমরান মতিন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আবদুস সাত্তার মন্ডল, অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ প্রমুখ।


আমাদের কাগজ/এম টি