আমাদের কাগজ ডেস্কঃ বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিম একটি পুষ্টিকর উপাদান।  ডিম একটি সহজলভ্য ও উন্নতমানের আমিষজাতীয় খাদ্য; যাতে রয়েছে প্রাকৃতিক ভিটামিন, যা দেহগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সব ধরনের ডিমে রয়েছে অতি মূল্যবান ওমেগা-৩, যা হৃৎপিণ্ডকে কার্যকর রাখতে সাহায্য করে। 

এ ছাড়া ডিমে উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন, ভিটামিন বি১২, ভিটামিন ডি, অ্যান্টি- অক্সিডেন্ট আছে, যা শরীরকে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাইতো এটিকে প্রোটিন এবং পুষ্টি উপাদানের পাওয়ার হাউসও বলা হয়।

ফেটে যায় কেন?

ডিম যখন সিদ্ধ করা হয় তখন হাইড্রোজেন সালফাইড উৎপন্ন হয়। ডিমের সাদা অংশে যে প্রোটিন থাকে, পানিতে থাকা হাইড্রোজেনের সঙ্গে মিশে এই গ্যাস তৈরি করে। ডিমের বাইরের অংশ যত গরম হতে থাকে, এই গ্যাস ততই ডিমের ভেতরের চলে যায় এবং একসময় ফেটে যায়। তাই ডিম সিদ্ধ করার পরেই ঠাণ্ডা পানিতে ডুবিয়ে রাখলে ভালো।

ডিম সিদ্ধ করার সময় যে বিষয় খেয়াল করতে হবে

ডিম সিদ্ধ করার সময় বড় পাত্রে সিদ্ধ করুন। যাতে একটা ডিমের সঙ্গে অন্য ডিমের ধাক্কা না লাগে। ডিম সিদ্ধ করার সময় পানিতে অল্প লবণ দিয়ে নিন। মাঝে মাঝে একটু নেড়ে দিন। গরম পানি থেকে তুলে ঠাণ্ডা পানিতে ডিমগুলো কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ডিমের খোসা ছাড়ালেই দেখবেন সহজেই খোসা থেকে আলাদা হয়ে যাচ্ছে।

ডিম ফ্রিজ থেকে বের করে সিদ্ধ করার আগে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় নিয়ে আসুন। ফ্রিজ থেকে বের করে সরাসরি সিদ্ধ করতে যাবেন না। অনেক ডিম একসঙ্গে সিদ্ধ করবেন না।  

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের কৃষি ও খাদ্য সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ী বছরে প্রত্যেক মানুষের গড় ডিম গ্রহণ ন্যূনতম ১০৪ টি হওয়া উচিত। ডিমের সাদা অংশে ৬ গ্রাম প্রটিন ও হলুদ অংশে ৬ গ্রাম প্রটিন রয়েছে। ডিমে ক্যালসিয়াম রয়েছে। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া

আমাদের কাগজ/এম টি