খেলাধুলা ১৯ ডিসেম্বর, ২০২২ ১০:৩৫

গোল্ডেন গ্লাভস জিতলেন মার্টিনেজ

ছবি - সংগৃহীত

ছবি - সংগৃহীত

আমাদের কাগজ ডেস্কঃ বলতে বলতে কাতার বিশ্বকাপ শেষ। অবশেষ দিনটা আসলো। মেসির অপাপ্তিকে পরিপূর্ণতা দিয়ে শামিল হয়েছে ফুটবল বিশ্বকাপে। তাদের ৩৬ বছরের ইতিহাসের সমাপ্তি ঘটিয়ে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হারিয়ে ইতিহাস বদলে দিল আর্জেন্টিনা। সুখের হাসি হাসলেন মেসি। এমন দিনে গোল্ডেন গ্লাভসও জিতলেন মার্টিনেজ। 

পুরো টুর্নামেন্টে গোলবারের নিচে দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে গোল্ডেন গ্লাভস নিজের করে নেন মার্টিনেজ। তবে ফাইনালে ওঠার লড়াইটা সহজ ছিলো না। আসরের প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে ২-১ গোলে হেরে আসর শুরু করে। সেই ম্যাচে কিছুটা ছন্দহীন ছিলেন এমি। তবে এর পরের ম্যাচেই মেক্সিকোকে ২-০ গোলে হারায় আর্জেন্টিনা। সেই ম্যাচে দারুণ কিছু সেভ করেন তিনি। এরপর গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে পোল্যান্ডের বিপক্ষেও ছিলেন দুর্দান্ত। শেষ ষোলোতে অস্ট্রেলিয়াকে ২-১ গোলে হারায় মেসিরা। 

বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করার পর পেনাল্টি শুটআউটে ৪-৩ ব্যবধানে এবং সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে হারায় ৩-০ গোলে। প্রথম ম্যাচ ছাড়া বাকি ম্যাচগুলোতে গোলপোস্টের নিচে অতন্দ্র প্রহরীর দায়িত্ব পালন করেছেন মার্টিনেজ। কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডস-আর্জেন্টিনা ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময় পেরিয়ে টাইব্রেকারে। যেখানে নায়ক হয়ে উঠেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। পেনাল্টি শুটআউটে নেদারল্যান্ডসের প্রথম দুই শট নেয়া ভার্জিল ফন ডাইক ও স্টিভেন বেরহাসকে রুখে দেন তিনি।

অন্যদিকে শেষ দুটি ম্যাচে সহজ কিছু সুযোগ নষ্ট করে রীতিমতো আর্জেন্টাইনদের চক্ষুশুলে পরিণত হয়েছিলেন লাউতারো মার্টিনেজ। এদিন টাইব্রেকারের শেষ পেনাল্টি নেয়ার দায়িত্ব পরে সেই লাউতারোর কাঁধে। তবে এদিন আর হতাশ করেননি এ ইন্টার মিলান ফরোয়ার্ড। লক্ষ্যভেদে উল্লাসে মাতিয়েছেন আর্জেন্টিনাকে। এছাড়া শেষ ষোলোতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও দারুণ কিছু সেভ করেন মার্টিনেজ।

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের মত ফাইনালেও আর্জেন্টিনার জয়ের শেষ মুহূর্তের নায়কে পরিণত হলেন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।

এরপর ফাইনালেও ব্রাজিলের আক্রমণভাগের একের এক শট ফিরিয়ে আর্জেন্টাইন দুর্গ রেখেছেন অক্ষত। ২০১২ সালে ইংলিশ ক্লাব আর্সেনালে যোগ দিয়েছিলেন মার্টিনেজ। আর্সেনালের হয়ে আট বছরে মাত্র ১৫ ম্যাচ খেলেছেন। সর্বশেষ ২০২০ সালে এফএ কাপের ফাইনালে খেলেছিলেন আর্সেনালের জার্সিতে। এরপর যোগ দিয়েছেন আরেক ইংলিশ ক্লাব অ্যাস্টন ভিলায়। এই ক্লাবে এসেই নিজেকে চেনালেন সবাইকে। আর্জেন্টিনার জার্সিতে অভিষেকের পর যেন স্বর্গ থেকে দূত হয়ে এসে দাঁড়ালেন মেসির দলের গোলপোস্টে।

আমাদের কাগজ/এম টি