অর্থ ও বাণিজ্য ১ জানুয়ারি, ২০২৩ ০৭:২৩

 নতুন বছরের অর্থনীতি কেমন হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ আর করোনা মহামারী পরবর্তী সরবরাহ ব্যবস্থায় ব্যাঘাত ঘটার ফল হিসেবে গত বছরের প্রায় পুরোটাই বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ভুগতে হয়েছে। একদিকে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতির কারণে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে, অন্যদিকে ডলার সঙ্কটে আমদানি এবং ব্যাংকিং খাতেও ছিল সঙ্কট।দেশে ডলার সংকট এখনও কাটেনি। চাহিদা অনুযায়ী এলসি খুলতে পারছে না ব্যাংকগুলো। ঘোষণা দিয়ে আমদানি বাণিজ্যের লাগাম টানা হয়েছে।

অর্থনীতি বড় ধরনের চাপে পড়েছে। সাধারণ মানুষের জীবনযাপনের খরচ বাড়িয়ে দিয়েছে। উদ্যোক্তাদের জন্য বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট। এতে উৎপাদনও কম হচ্ছে। এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই আসলো নতুন একটি বছর। অনেকের মনেই প্রশ্ন, নতুন বছরের অর্থনীতি কেমন হবে? কারণ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় সমালোচনা হচ্ছে। টাকা পাচার ও ব্যাংকে টাকা জমা রাখা নিয়ে নানা ধরনের কথাও উঠছে। বৈদেশিক ঋণের কিস্তি পরিশোধ ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়া নিয়েও চলছে আলোচনা।

অর্থনীতিবিদরা আশাবাদী, ২০২২ সালের চেয়ে ২০২৩ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতি চাঙা থাকবে এবং বেশ স্বস্তি বিরাজ করবে। তাদের ধারণা, ২০২৩ সালের অর্থনীতি থাকবে যথেষ্ট গতিশীল।

বাংলাদেশের (পিআরআইবি) নির্বাহী পরিচালক ও ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, নতুন বছরে মূল্যস্ফীতির চাপ খানিকটা কমে আসবে। কারণ, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। ধারণা করা যায়, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যমূল্য আগামীতে আরও কমবে। এছাড়া ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের সম্ভাব্য ক্ষতি ধরে নিয়েই বিশ্ব অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে, চাপ সামলানোর চেষ্টা করছে বাংলাদেশও। পদ্মাসেতু খুলে দেওয়ার একটি ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এছাড়া আইএমএফের ঋণও পাওয়া যাবে। নতুন বছরে সরকার রেমিট্যান্স ও রফতানি আয়ের দিকে নজর দিলে অনেকাংশে চাপ কমে আসবে।

সার্বিকভাবে ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে স্বস্তিদায়ক অবস্থানে থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তবে ২০২২ সালের অনিষ্পত্তি হওয়া লেনদেনের চাপ আগামী বছরে পড়বে। অর্থাৎ প্রধানত ডলার সংকট ২০২৩ সালেও থাকবে। এ বছর যেসব এলসি পেমেন্ট হয়নি তার প্রভাব পড়বে আগামী বছরে। এর সঙ্গে জাতীয় নির্বাচন কেন্দ্রিক সংকট মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। হয়তো অনেকেই অর্থ পাচার বাড়িয়ে দেবেন। অনেকেই অনিশ্চয়তা থেকে বিনিয়োগ করা থেকে বিরত থাকবেন।

তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমদানি কমে গেছে, অর্থনীতি ঠিক রাখতে হলে বিনিয়োগ দরকার হবে। আর বিনিয়োগ চাইলে আমদানি বাড়াতে হবে। আর আমদানি বাড়াতে গেলে রেমিট্যান্স ও রফতানি আয় বাড়ানোর প্রতি সরকারকে নিবিড়ভাবে নজর দিতে হবে। এছাড়া রাজস্ব নিয়েও কাজ করতে হবে।

রয়েছে শঙ্কাও

অর্থনীতিবিদদের কেউ কেউ বলছেন, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সংকট আরও ঘনীভূত হতে পারে। এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী বছরে বাংলাদেশকে বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। এর বাইরে নতুন করে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ দেখা দিয়েছে। যা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অনিশ্চয়তা ও বাধার সৃষ্টি করবে। এছাড়া আগামী বছর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ আরও বৃদ্ধি, ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন, খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে যাওয়া, বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের বড় ধাক্কা সামাল দিতে হবে। এর সঙ্গে বিনিয়োগ কমে কর্মসংস্থানে নেতিবাচক প্রভাব পড়া, আমদানি কমায় দেশীয় শিল্পে সংকট আরও বাড়তে পারে।

বিশ্ব ব্যাংকও এমনই আভাস দিয়েছে। সংস্থাটি বলছে, বিশ্বের তিনটি বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং ইউরো অঞ্চল তীব্র সংকটের মধ্যে পড়েছে। বিশ্বব্যাংকের ধারণা অনুযায়ী, এই পরিস্থিতিতে ২০২৩ সাল অর্থনীতিতে মাঝারি ধাক্কায় বিশ্বকে মন্দার দিকে ঠেলে দিতে পারে।

আমদানি-রফতানি বাণিজ্য

সরকারি উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএসের গবেষক ও অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত বলেন, পদ্মাসেতু চালু হয়েছে। মেট্রোরেলের আংশিক চালু হয়েছে। কর্ণফুলী টানেল চালু হবে। এর ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতির দিগন্ত বদলে যাবে। এর প্রভাব পড়বে জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে।

তার মতে, মেট্রোরেল রাজধানীর দুই-আড়াই কোটি মানুষের সময় সাশ্রয় করবে। মানুষ দ্রুত এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে পারবে। বেশি বেশি কাজ করতে পারবে। ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি বেড়ে যাবে। মোট কথা অর্থনীতিতে নতুন গতি সঞ্চার করবে মেট্রোরেল।
২০২২ সাল ছিল এই সংকট মোকাবিলা করার সময়। এই যুদ্ধের প্রভাব মোকাবিলা করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন স্থিতিশীল অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে। ফলে ২০২৩ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে স্বস্তি বিরাজ করবে।

তিনি বলেন, সার্বিকভাবে ২০২৩ সাল থাকবে ইতিবাচক ও ঘুরে দাঁড়ানোর বছর। আর যুদ্ধ যদি থেমে যায়, তাহলে বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত ঘুরে দাঁড়াবে। বিনিয়োগও বাড়তে থাকবে। নতুন বছরে রেমিট্যান্স ও রফতানি আয়ে সুবাতাস বইবে। কারণ ইতোমধ্যে ডলারের অস্থিরতা আমরা কাটিয়ে উঠতে পেরেছি। খোলা বাজারের সঙ্গে ডলারের বিনিময় স্বাভাবিক হয়ে আসলে ব্যাংকিং চ্যানেলের রেমিট্যান্স বাড়তে শুরু করবে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্বাভাবিক থাকবে। পদ্মা সেতুর ইতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। মেট্রোরেলের কিছুটা প্রভাব পড়বে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারকে উৎপাদনমুখী নীতিমালা তৈরি করতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, নতুন বছরেও বাংলাদেশের অর্থনীতিকে বিশ্ব অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই এগোতে হবে। ইউক্রেন যুদ্ধের গতি প্রকৃতির ওপর অনেকটাই নির্ভর করবে এসব চ্যালেঞ্জের ধরন কেমন হবে। তবে মনে হচ্ছে বিশ্ব বাজারে পণ্যমূল্য আগামীদিনগুলোতে আরও কমবে। এরই মধ্যে একমাত্র চাল ছাড়া প্রায় সব পণ্যেরই আগের পর্যায়ে নেমে এসেছে। তবে যুদ্ধ তীব্র না হলে বিশ্ববাজারের এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে মনে হয়। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমের দেশগুলোর মূল্যস্ফীতি তাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শক্ত নীতি অবস্হানের কারণে এখন কমতির দিকে। তাই আমদানিজনিত মূল্যস্ফীতি আমাদের অর্থনীতিতে নতুন বছরে আরও চাপে ফেলবে এমন আশঙ্কা না করাই ভালো। তবে আমাদের অভ্যন্তরীন অর্থনৈতিক চ্যালেন্জগুলো নিয়ে সতর্ক থাকা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

প্রবাসী শ্রমিক

তিনি উল্লেখ করেন, বিশ্বখাদ্য সংকট যাই থাক না কেন আমাদের দেশে খাদ্য সংকট তীব্র হবে না। কৃষিখাতে সরকার যথেষ্ট মনোযোগ দেওয়ার ফলে এই সক্ষমতা আমাদের তৈরি হয়েছে। আমনের ভালো উৎপাদন হয়েছে। বোরোতেও যেন তেমনটি হয় সেজন্য জ্বালানি, সার ও কৃষিঋণের প্রতি সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক গুরুত্ব দিচ্ছে। এই নীতি সমর্থন অব্যাহত থাকলে বোরো উৎপাদনও ভালো হবে। তবে হাওর অঞ্চলে বাঁধ মেরামত ও সম্প্রসারণে বাড়তি মনোযোগ দিতে হবে। আশা করি নতুন বছরে আমরা আরও বেশি বাজারনির্ভর রেগুলেশনের দিকে হাঁটবো এবং বিনিময় হারের মতো সুদের হারকেও নমনীয় করে ফেলবো। এর ফলে আর্থিক খাত প্রচলিত মুদ্রানীতির সুফল পাবে এবং চলতি হিসেবের ভারসাম্যহীনতার মতো সমস্যা সমাধানের উপযুক্ত পথ খুঁজে নেবে। একই সঙ্গে নতুন বছরে  আর্থিক খাতের শাসনকাঠামোর বিদ্যমান অসঙ্গতি ও দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে অংশিজনদের আরও বেশি মনোযোগী করতে সরকার ও রেগুলেটররা একযোগে আরও শক্ত অবস্থান নেবে বলে মনে করেন তিনি।

কেন ভালো থাকবে ২০২৩ এর অর্থনীতি

অসংখ্য ব্রিজ কালভার্ট ছাড়াও ২০২২ সালে বহুল প্রত্যাশিত পদ্মাসেতু ও মেট্রোরেল চালু হয়েছে। এই তিন বড় প্রকল্পের ফলে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ২ শতাংশ বাড়বে। শুধু পদ্মাসেতু চালুর কারণেই জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়বে ১ দশমিক ২ শতাংশ। মেট্রোরেল এবং কর্ণফুলী টানেল নিয়ে আলাদা কোনও প্রাক্কলন করা না হলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তিনটি মেগা প্রজেক্ট চালু হলে দেশে জিডিপিতে প্রায় ২ শতাংশ বাড়তি প্রবৃদ্ধি যোগ হবে।

এদিকে যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ (সিইবিআর) এক প্রতিবেদন বলছে, ২০৩৭ সালে বিশ্বে ২০তম অর্থনীতির দেশ হবে বাংলাদেশ। অভ্যন্তরীণ উন্নতির পাশাপাশি আঞ্চলিক দৃষ্টিকোণ থেকেও বাংলাদেশ অনেক ভালো করেছে। মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকারে গত বছর দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে আসে বাংলাদেশ। চলতি বছর শেষেও এই অবস্থান ধরে রেখেছে দেশটি।

সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২১ সালে ডব্লিউইএলটি তালিকায় বাংলাদেশ ৩৬তম অবস্থানে ছিল। আগামী বছরগুলোতে ধারাবাহিকভাবে এই অবস্থানের উন্নতি হবে। এতে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ ২০২৩ সালে ৩৫তম, ২০২৭ সালে ২৬তম, ২০৩২ সালে ২৪তম ও ২০৩৭ সালে ২০তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হতে পারে।

বর্তমানে দেশের জিডিপির আকার হিসাব করা হয়েছে ৪২ হাজার ৯০০ কোটি (৪২৯ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার। সিইবিআর বলছে, ২০৩৭ সালের মধ্যে জিডিপির আকার ১ লাখ ৬২ হাজার ৮০০ কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছাবে।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হানও মনে করেন ২০২২ সালের চেয়ে ২০২৩ সাল বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চাপ কিছুটা কম থাকবে। কারণ, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম কমছে। বেশ কিছু পণ্যের দাম কমছে। আশা করা যায়, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম আরও কমবে। এর সুফল আগামী বছর বাংলাদেশ পাবে। বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি কমে আসবে। তবে একটি শঙ্কা আছে, তা হলো বৈশ্বিক মন্দা যদি দীর্ঘায়িত হয় তাহলে রফতানির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। একইভাবে রেমিট্যান্সও সেভাবে বাড়ছে না। ফলে আগামী বছর অর্থনীতিতে চাপ থাকলেও মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমবে।

নিত্য পণ্যের বাজার

তিনি বলেন, ২০২২ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অভূতপূর্ব কিছু সংকট তৈরি হয়েছে। একদিকে বছরজুড়েই মূল্যস্ফীতির অস্বাভাবিক চাপ ছিল। সামষ্টিক অর্থনীতির ওপরও চাপ ছিল। বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের ওপর চাপ ছিল, ডলারের সংকট ছিল। ২০২২ সালের প্রতি মাসে গড়ে এক বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ কমে গেছে। গত এক দশকে আমরা অর্থনীতির ওপর এতটা চাপ দেখিনি। আবার অন্যদিকে পদ্মাসেতুর মতো একটি বড় মেগা প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে।

তার মতে, নতুন বছরে মূল্যস্ফীতি কমানোর সুযোগ তৈরি হবে। সরকারকে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। বাজারে প্রতিযোগিতামূলক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। বিশেষ করে ব্যবসায়ীরা যাতে অন্যায়ের সুযোগ নিতে না পারে সে ব্যাপারে কঠোর থাকা।

দ্বিতীয়ত, মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার কারণে যেসব পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত রাখা। আর সামষ্টিক অর্থনীতি ঠিক রাখতে রফতানি বাণিজ্য বাড়ানোর ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া। বিশেষ করে ভারত জাপান দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলোতে রফতানি বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে। আর রেমিট্যান্স বাড়াতে হলে হুন্ডি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উদ্যোগ থাকতে হবে।

আমাদেরকাগজ/ এইচকে