শিক্ষা ৫ জানুয়ারি, ২০২৩ ০৬:০৭

ঢাবি ছাত্রকে গুলি করে হত্যা: ৫ জনের যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক: চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র মনিরুল ইসলাম বিপুকে গুলি করে হত্যার মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রাজধানীর ডেমরায় ১৯ বছর আগে সংগঠিত এই হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক ইকবাল হোসেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি পাঁচ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বাবু, চায়না বাবুল ওরফে বাবুল, তরিকুল ইসলাম ওরফে মিল্লাত, খায়রুল বাশার ওরফে খায়রুল ও পতি সুমন ওরফে সুমন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেক ব্যক্তিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে, তা না হলে আরও ৩ মাস কারাভোগ করতে হবে।

দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে বাবু ও মিল্লাত আজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের ওয়ারেন্টসহ কারাগারে পাঠানো হয়।

খালাস পাওয়া পাঁচজন হলেন- সোহেল, আলম, আজহারুল ইসলাম ওরফে পারভেজ, মামুন ও উজ্জল।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ভিকটিম বিপু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ পড়ছিলেন। ব্যবসাও করতেন। ২০০৪ সালের ২৬ জুলাই তিনি ডেমরার বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে প্রতিবেশী বাবু বাসায় এসে বিপুকে ঘুম থেকে ডেকে আনে। ১৫-২০ মিনিট পর বিপুর বাড়ির কাজের মেয়ে এসে জানায় বিপু মাথায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। বিপুর খালা রোকসানা আক্তার ও তার প্রতিবেশী সুমন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ডিএমএইচ) হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় ওই দিনই বিপুর মা লায়লা বেগম বাদী হয়ে ডেমরা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ডেমরা থানার উপ-পরিদর্শক সাইদুল ইসলাম ২০০৪ সালের ২৯ নভেম্বর ১০ জনকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করেন।

চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের প্রতিবাদ করায় বিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। ২০০৬ সালের ২২ জুন আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে এবং বিচার শুরু করার নির্দেশ দেয়। মামলার শুনানি চলাকালে আদালত চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত ৩০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

আমাদেরকাগজ/এইচএম