ডেস্ক রিপোর্ট ।।
রাজধানীতে বেড়েছে ছিনতাই, চুরি ও ডাকাতির মত বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। এই সন্ত্রাসীরা এখন সাধারণ মানুষের বেশে বিভিন্ন বাসা বাড়ি ঘুরে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে। তাদের নজর বেশি থাকে তালাবদ্ধ বাড়ি। এ বিষয়ে সূত্রাপুর থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ তার নিজের ফেসবুক আইডি থেকে একটি স্ট্যাটাস শেয়ার করেন। পাঠকদের সুবিধার জন্য তার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হল-
"সাদা টিশার্ট পরা মাঝের দুজনকে দেখে সাধারণত ভদ্রলোকই মনে হয়। এই ভদ্রতার মুখোশ পরে ওরা শহরের তালাবদ্ধ বাসাবাড়ী খুজতে থাকে। দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকা বাসাবাড়ী পর্যবেক্ষণের এক পর্যায়ে পরিস্থিতি বুঝে তালা ভেংগে ঢুকে পড়ে। তারপর আলমারী, সোকেস বা অন্যান্য কিছুতে রাখা মূল্যবান স্বর্ণালংকার ও টাকাপয়সা নিয়ে চলে যায়।
গত ১৮-৯-২০১৯ খ্রি: শুক লাল দাশ লেনের তালাবদ্ধ একটা বাসার তালা ভেংগে ১০ ভরি স্বর্ণালংকার ২৫ ভরি রূপার অলংকার চুরি হয়। মেয়েদের অতি পছন্দ আর শখের জিনিষ চুরি হলে যা হয় আর কি! কান্নাকাটি আর মন খারাপের দৃশ্যগুলো দেখতে হয় তাৎক্ষনিক।
সাব-ইন্সপেক্টর সালেহীন উঠেপড়ে লেগে থাকে বিষয়টি উদঘাটনের জন্য। ২৪ ঘন্টা পেরোনোর আগেই উদঘাটন করে চুরির রহস্য। নদীর ওপার কেরানীগজ্ঞ থেকে ধরা পড়ে ২ চোর আর তাতীবাজার থেকে উদ্ধার হয় স্বর্ণালংকার।
পুলিশি জীবনের সবচেয়ে কষ্টসাধ্য আর জটিল এবং কঠিন কাজই হলো চুরির মালামাল উদ্ধার করা। আর সেই কঠিন কাজটিই করেছে আমার স্নেহের সাব-ইন্সপেক্টর সালেহীন। আন্তরিক ধন্যবাদ সালেহীন ও তার টিমকে।
পাদটীকা: বাসা তালা মেরে রেখা যাওয়ার সময় মূল্যবান স্বর্ণালংকার ও টাকাপয়সা আলমারীতে না রেখে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রাখাই উত্তম।"