সারাদেশ ৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ০৭:০৯

শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, ভাসিয়ে দিলেন নদীতে

নিজস্ব প্রতিবেদক : পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরআন্ডা গ্রামে ১২ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছেন আল আমিন (৩৫) নামে এক অটোরিকশা চালক।  পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। 

শিশুটির পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মেয়েটি ২০২০ সালে চরআন্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সমাপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দুই বছর পড়ালেখা থেকে বিরত ছিল। গত শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরের সাগরপাড় বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে গিয়েছিল সে। কাঁচা মরিচ, শ্যাম্পুসহ অন্যান্য পণ্য নিয়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয় মেয়েটি। এরপর থেকেই সে নিখোঁজ হয়।

পরদিন শনিবার দুপুরে চরআন্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকার একটি পুকুর পাড় থেকে তার পায়ের একটি জুতা, বাজার থেকে কেনা পণ্য এবং খাল সংলগ্ন বিলের মাঝে ওড়না পাওয়া যায়। ওই ওড়ানায় প্রচুর লালা দেখতে পান স্থানীয়রা। এতে ধর্ষণ-খুন আর গুমের সন্দেহ হয় পরিবার ও এলাকাবাসীর।

স্থানীয়রা জানান, মেয়েটি যেখান থেকে নিখোঁজ হয় সেখানেই দীর্ঘক্ষণ আটোরিকশা পড়ে ছিল স্থানীয় আল আমিনের। তাই অটোচালক আল আমিনকে সন্দেহ হয় সবার। শনিবার বিকেল থেকে তাকে খুঁজতে শুরু করেন স্থানীয়রা। পরে রাত ২টার দিকে আলেকান্দা গ্রাম থেকে আল আমিনকে স্থানীয়রা ধরে পুলিশে সোপর্দ করেন। আটক আল আমিন চরআন্ডা গ্রামের ইসমাঈল হাওলাদারের ছেলে।

মেয়েটির বাবা বলেন, আমি সাগরে ছিলাম। মেয়ে নিখোঁজের কথা শুনে আমি বাড়িতে আসি। এসে ওড়না পেয়েছি। এরপর খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারি আল আমিন ধর্ষণ করে হত্যা করছে। তারপর গাঙে (নদীতে) ফালাইয়া দিছে। আমরা আল আমিনের ফাঁসি চাই।

মেয়েটির মামাতো ভাই মিজানুর রহমান বলেন, মরদেহ আমরা এখনও পাইনি। আমরা আল আমিনের ফাঁসি চাই। ওর সঙ্গে যারা জড়িত আছে তাদেরও ফাঁসি চাই।

এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আল আমিন নামে এক আটোরিকশা চালককে আটক করা হয়েছে। তিনি প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে মেয়েটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মরদেহ নদীর পানিতে ফেলে দিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন। ধর্ষণ করেছে কিনা তা জিজ্ঞাসাবাদে জানা যাবে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

তিনি আরও বলেন, মেয়েটির মরদেহ উদ্ধারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নদী বড় হওয়ায় এখনো মরদেহ উদ্ধার করা যায়নি।

আমাদেরকাগজ/ এইচকে