সারাদেশ ১২ জানুয়ারি, ২০২৩ ০১:৪৬

স্কুলে শিক্ষক না থাকায় ক্লাস নিচ্ছেন কর্মচারীরা

ছবি - সংগৃহীত

ছবি - সংগৃহীত

আমাদের কাগজ, হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ শিক্ষায় শিক্ষকের গড়মিল নতুন কিছু নয়। এবার ঘটল আরও আজব কান্ড। যেখানে শিক্ষকের পাঠদানের কথা সেখানে ক্লাস নিচ্ছেন কর্মচারীরা। সম্প্রতি এমনি এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে হবিগঞ্জে। 

হঠাৎ করেই মন্ত্রণালয় এক আদেশে সব বিদ্যালয়ের সংযুক্তি (এটাচম্যান্ট) আদেশ বাতিল করে দিয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছে হবিগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট পিটিআই বিদ্যালয়টি। এখন পুরোই শিক্ষক শূন্য হয়ে পড়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়,১৫ ডিসেম্বর থেকে এখানে পা পড়েনি কোন শিক্ষকের। তাই হচ্ছে না তেমন ক্লাসও। নতুন বই পেলেও ক্লাস না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে তেমন আনন্দও নেই। আছে ক্ষোভ। ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন অভিভাবকরাও। 

এ অবস্থায় ইন্সট্রাক্টর, কম্পিউটার অপারেটর, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর দিয়েই ক্লাস চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত সুপারিনটেনডেন্ট মো. শাহজাহান কবির। মো. শাহজাহান কবির বলেন, এ বিদ্যালয়টিতে ৩৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। পাঁচজন শিক্ষককে বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে সংযুক্তিতে (অ্যাটাচম্যান্ট) এনে পাঠদান কার্যক্রম চালানো হচ্ছিল। কিন্তু গত ১৫ ডিসেম্বর মন্ত্রণালয় এক আদেশে তাদেরকে নিজ নিজ কর্মস্থলে ফেরত পাঠাতে বলে। পরে তাদের সংযুক্তি আদেশ বাতিল করা হয়। তখন তাদেরকে নিজ নিজ কর্মস্থলে ফেরত পাঠানো হয়। এরপর থেকেই বিদ্যালয়ে কোনো শিক্ষক নেই। অথচ এখানে কমপক্ষে ছয়জন শিক্ষক প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, আমি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি চলতি মাসের মধ্যেই শিক্ষক দেবেন বলে জানিয়েছেন। এ অবস্থায় স্কুল বন্ধ রাখলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই স্কুল চালু রেখেছি আমরা। 

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইন্সট্রাক্টর, ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের আপাতত তেমন কোনো কাজ নেই। তাই তাদেরকে দিয়েই পাঠদান কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি নিজেও ক্লাস নিচ্ছি।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গোলাম মাওলা বলেন, মন্ত্রণালয়ের আদেশে তাদের সংযুক্তি বাতিল করা হয়েছিল। আশা করছি, চলতি সপ্তাহের মধ্যেই আবার সংযুক্তিতে শিক্ষক এখানে দেওয়া সম্ভব হবে। ইতোমধ্যেই জানতে পেরেছি অর্ডার হয়ে গেছে। নতুন শিক্ষক নিয়োগ হলে, স্থায়ী শিক্ষক দেওয়া সম্ভব হবে। আপাতত সংযুক্তিতেই তাদের পাঠদান কার্যক্রম চালানো হবে আশা ব্যক্ত করেন তারা। 

আমাদের কাগজ/এম টি