জাতীয় ১৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ০৯:১৮

সাবেক এমপিদের পেনশনের বিষয়ে যা বললেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাবেক সংসদ সদস্যদের (এমপি) জন্য পেনশন সুবিধা চালুর কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

বৃহস্পতিবার সংসদের বৈঠকে প্রশ্নোত্তরে এ কথা বলেন তিনি।

এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হলে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবির প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় সাবেক সংসদ সদস্যগণের জন্য বিশেষ ভাতা ও পেনশন সুবিধা চালু করার কোনো পরিকল্পনা বর্তমানে সরকারের নেই। তবে, ভবিষ্যতে সাবেক সংসদ সদস্যদের জন্য বিশেষ ভাতা ও পেনশন সুবিধা চালু করা যায় কিনা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানান, ২০০৯ থেকে ২০২২ পর্যন্ত দেশে ১৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, ৪টি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও ৫৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। দেশে বর্তমানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ৫৩টি। সরকার আরও ৯টি জেলায় পাবলিক বিশ্ববিদল্যায় স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জেলাগুলো হলো সাতক্ষীরা, শরীয়তপুর, নারায়ণগঞ্জ, মেহেরপুর, লক্ষ্মীপুর, ঠাকুরগাঁও, নওগাঁ, বগুড়া এবং নাটোর। তবে ইতিমধ্যে কয়েকটির জেলার বিষয়ে মন্ত্রি পরিষদ ও সংসদে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ণকারী শিক্ষকদের সম্মানী ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৫ টাকা করা হয়েছে। ফল প্রকাশের তিন মাসের মধ্যে তা পরিশোধ করা হয়।

সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তারের প্রশ্নের জবাবে দীপু মনি বলেন, গত তিন মেয়াদে ৭৯৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সরকারিকরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৪৫টি স্কুল, ৩৫৯টি কলেজ, ৫৩টি স্কুল ও কলেজ এবং ৪০টি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বেগম শামসুন নাহারের প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন জানান, দেশে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ৬৫ হাজার ৫৬৫টি এবং বেসরকারি প্রাথমিক বিশ্ববিদ্যালয় ৫৩ হাজার ৩১২টি।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য শফিউল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ জানান, ঢাকা শহরের ভাসমান ভিক্ষুকদের নিজ নিজ এলাকায় পুনর্বাসিত হওয়ার জন্য ব্যাপক প্রচার-প্রচরণা চালানো হচ্ছে এবং ভিক্ষাবৃত্তি থেকে নিরুৎসাহিত করতে ঢাকা শহরে নিয়মিতভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।

আমাদেরকাগজ/এইচএম