অপরাধ ও দুর্নীতি ২২ জানুয়ারি, ২০২৩ ০৯:৫১

জমির বিরোধ, অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ আহত ১২ 

নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজারের জমির বিরোধ নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায়  ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হাদিছা বেগমসহ ১২ জন আহত হয়েছেন। এ সময় উত্তেজিত লোকজন দুটি ঘড় বাড়ি ভাংচুর করে। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপির চেয়ারম্যান ও পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। রোববার, ২২ জানুয়ারি সকাল ৮ টার দিকে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের পূর্ব সোনাইছড়ি রমিজপাড়া ঢালারমুখ নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এদের মধ্যে ৩ জনকে চমেক হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। আহতরা হলেন, ওই এলাকার মৃত ফজর রহমানের পুত্র আবু ছৈয়দ (৫০), তার ভাই আবু ছিদ্দিক (৪৫), রেজাউল করিমের স্ত্রী কাজলী বেগম (৩০), আবদুল কাদেরের স্ত্রী আমেনা বেগম (৩৫), আলী হোসেনের স্ত্রী মোবারেকা বেগম (৫০), নুরুল আবছারের স্ত্রী ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হাদিছা বেগম (৩০), হাদিছা বেগমের স্বামী নুরুল আবছার (৪০), নুরুল ইসলামের স্ত্রী সাজেদা বেগম (৪০), মফিজের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৫০), বেলাল হোসেনের স্ত্রী নুরুজ্জাহান বেগম (২৯)। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টইটং ইউনিয়নের পূর্ব সোনাইছড়ি রমিজপাড়ায় প্রায় ২৪ কানি জমি নিয়ে স্থানীয় মোজাহেরুল হকের পুত্র সাবেক ইউপি সদস্য নুরুচ্ছফা গং ও একই এলাকার মৃত ফজর রহমানের পুত্র আবু ছৈয়দ গংদের মধ্যে বিরোধ চলছিলো। বিএস ভুল রেকর্ডের বিরুদ্ধে আদালতে অপর মামলা ৪২৪/০৫ চলমান রয়েছে। চলতি বোরো মৌসুমে জমিতে ফসল ফলানোর সময়ে জমির দখল ও বেদখলকে কেন্দ্র করে রমিজপাড়ায় আধিপত্য বিরাজ করছে।

ঘটনার দিন সকালে সাবেক ইউপি সদস্য নুরুচ্ছফা গং ৩০/৪০ জনের লোকজনকে নিয়ে জমি দখলের প্রচেষ্টা চালায়। এতে করে উভয়পক্ষের মধ্যে মারপিট হয়েছে। এ সময় মৃত ফজর রহমানের পুত্র আবু ছৈয়দ গংদের পক্ষে অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ ১২ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে আবু ছৈয়দ, তার ভাই আবু ছিদ্দিক ও রেজাউল করিমের স্ত্রী কাজলী বেগমকে চমেক হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। 

স্থানীয় ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান হাজী শাহাব উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে আমি চেয়ারম্যানসহ গ্রাম পুলিশ নিয়ে সেখানে গিয়েছিলাম। 

আহত ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা রেজাউল করিমের স্ত্রী হাদিছা বেগম জানান, আমার বাড়িসহ দুটি বসতবাড়ি গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ব্যাপক লুটপাটসহ তাণ্ডব চালানো হয়। 

টইটং ইউপির চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, জমি নিয়ে আদালতে মামলা আছে। আমার এখানে বিচারও ছিলো। এরপরও একটি পক্ষ সেখানে ঘর তৈরি করছিলো। এটি নিয়ে বিরোধের সূত্রপাত। 

পেকুয়া থানার ওসি ওমর হায়দার জানান, খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

আমাদেরকাগজ/ এইচকে