জাতীয় ২৫ জানুয়ারি, ২০২৩ ১২:১৬

১৯ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি নির্বাচন

আমাদের কাগজ রিপোর্ট: বাংলাদেশের ২২ তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ফেব্রুয়ারির ১৯ তারিখ ভোটের দিন রেখে এ তফসিল ঘোষণা করে কমিশন।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগ্রহী প্রার্থীরা ১২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি যাচাই বাছাইয়ের পর ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে।

প্রার্থীর সংখ্যা একজনের বেশি না হলে তাকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে। আর একাধিক প্রার্থী হলে সংসদের অধিবেশন কক্ষে বিধিমালা অনুযায়ী ভোট হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টার মধ্যে।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পরিচালনা করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, যিনি নির্বাচনের নির্বাচনী কর্তা তার কার্যালয়েই (প্রধান নির্বাচন কমিশনারের অফিসে) নির্ধারিত দিনে অফিস চলাকালে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে।

বৃহস্পতিবার সিইসির সভাপতিত্বে নির্বাচন কমিশনের বৈঠক শেষে নির্বাচনের বিস্তারিত দিনক্ষণ সাংবাদিকদের জানান ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

এর আগের দিন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সংক্ষিপ্ত বৈঠক করে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বুধবার নির্বাচন কমিশনের সভা করে তফসিল ঘোষণার কথা জানিয়েছিলেন।

 ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন মো. আবদুল হামিদ। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, মেয়াদ অবসানের কারণে রাষ্ট্রপতি পদ শূন্য হওয়ার ক্ষেত্রে মেয়াদপূর্তির তারিখের আগের নব্বই থেকে ষাট দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হয়। ফলে ২৪ জানুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের।

স্বাধীনতার পর থেকে ২০ মেয়াদে পর্যন্ত ১৭ জন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশের আইনে এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্বে থাকতে পারেন। বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তার দ্বিতীয় মেয়াদের শেষ প্রান্তে রয়েছেন। সেই হিসোবে নতুন রাষ্ট্রপতি হবেন এই পদে অষ্টদশ ব্যক্তি।

সংসদীয় গণতন্ত্র চালুর পর ১৯৯১ সালে একাধিক প্রার্থী হওয়ায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে একবারই সংসদের কক্ষে ভোট করতে হয়েছিল। পরে প্রতিবারই ক্ষমতাসীন দল মনোনীত প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে আসছেন।

 ১৯৯১ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন সংসদ সদস্যদের ভোটে। আর প্রধান নির্বাচন কমিশনার তাতে নির্বাচনী কর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ওই আইনের সপ্তম ধারায় বলা হয়েছে- নির্বাচনী কর্মকর্তা নির্ধারিত দিন, সময় স্থানে মনোনয়নপত্র পরীক্ষা করবেন। প্রার্থী একজন হলে এবং পরীক্ষায় তার মনোনয়নপত্র বৈধ বিবেচিত হলে কমিশন তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করবে। তবে একাধিক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হলে নির্বাচনের জন্য তাদের নাম ঘোষণা করবে ইসি।

একাধিক প্রার্থী হলে ১৯ ফেব্রুয়ারি সংসদের অধিবেশন কক্ষে নির্বাচনী কর্তা ভোটের আয়োজন করবেন। নির্ধারিত ব্যালট পেপারে পছন্দের প্রার্থীর নাম লিখে নিজের সই দিয়ে তা জমা দেবেন সাংসদরা।

ভোটের দিন গ্যালারিসহ সংসদ কক্ষে প্রার্থী, ভোটার, ভোট নেওয়ায় সহায়তাকারী কর্মকর্তা ছাড়া সবার প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রিত থাকবে।

ভোট শেষে নির্বাচন কমিশনার প্রকাশ্যে ভোট গণনা করবেন। সর্বাধিক ভোটপ্রাপ্তকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে। আর সমান ভোট পেলে প্রার্থীদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে ফল নির্ধারণ করা হবে।

 রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করেছে। বিএনপির সাত সদস্য পদত্যাগ করায় (ঠাকুরগাঁও-, বগুড়া-, বগুড়া-, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-, চাঁপাইনবাবগঞ্জ- ব্রাহ্মণবাড়িয়া- এবং একটি সংরক্ষিত নারী আসন) বর্তমানে ৩৪৩ জন সংসদ সদস্য রয়েছেন, যাদের মধ্যে ৪৯ জন সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য।

আগামী ফেব্রুয়ারি আসনের উপ নির্বাচন রয়েছে, পরে একটি নারী আসনের ভোট হবে।

 

 

 

আমাদের কাগজ/টিআর