জাতীয় ২৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ০৫:৫৮

কে এই স্যার সলিমুল্লাহ, জেনে নিন তার সম্পর্কে অজানা সব কথা

ছবি - সংগৃহীত

ছবি - সংগৃহীত

তুষার আহম্মেদঃ একসময় ইট-কাঠ-পাথরের শহরে শান্তির নীড় হিসেবে জানা যেত স্যার সলিমুল্লাহ–র। বেশির ভাগ মানুষ তার নাম জানলেও জানেন না তার বা তার পরিবারের কৃতিত্বের কথা। তাদের পরিবারের ও তার কতটা ভূমিকা ছিল বাংলার মানুষের জন্য। কতটা উদার ছিলেন তারা। 

চলুন তাহলে যেনে নেই তার এবং তার পরিবার সম্পর্কে 

খাজা সলিমুল্লাহ বা নবাব সলিমুল্লাহ ৭ জুন ১৮৭১-১৬ জানুয়ারি ১৯১৫) ঢাকার চতুর্থ নবাব ছিলেন। তার পিতা নবাব খাজা আহসানউল্লাহ ও পিতামহ নবাব খাজা আব্দুল গনি। তিনি নিখিল ভারত মুসলিম লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। যদিও তিনি জীবদ্দশায় এই বিশ্ববিদ্যালয় দেখে যেতে পারেননি। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যে স্থানে অবস্থিত তার একটি বড় অংশের জমি নবাবের প্রদান করা। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে এ বিষয় নিয়ে অনেকেই ভিন্ন মত দাবি করেছেন। তবে বিভিন্ন ঐতিহাসিক তথ্য থেকে এটা নিশ্চিত যে পুরো জমি না হলেও একটি বড় অংশ নবাব সলিমুল্লাহর কাছ থেকে এসেছে। 

পিতামহ নবাব খাজা আব্দুল গনি। তিনি নিখিল ভারত মুসলিম লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।বঙ্গ ভঙ্গ নিয়ে বাঙ্গালী হিন্দুদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় এবং পরবর্তীতে ১৯১১ সালে বঙ্গ ভঙ্গ রদ হয়ে যায়। 

শেষে সলিমুল্লাহর নেতৃত্বে 'অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ' বা নিখিল ভারত মুসলিম লীগ গঠিত হয়। ঢাকায় এই ঐতিহাসিক সম্মেলনে বঙ্গভঙ্গ সমর্থন এবং বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের নিন্দা করা হয়। এ সংগঠনের ব্যাপারে শুরু থেকেই হিন্দু জনগোষ্ঠী বিরূপ অবস্থান নেয়। সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী সম্পাদিত দি বেঙ্গলি পত্রিকা নবগঠিত নিখিল ভারত মুসলিম লীগ কে সলিমুল্লাহ লীগ হিসেবে অভিহিত করে। 

উল্লেখ্য, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল,কলেজ ও মসজিদ ,রোড আরও বিভিন্ন সব প্রতীক রয়ে গেছে এখনও। যা দ্বারা মানুষ এখনও উপকৃত হয়ে আসছেন। দেশ ও দেশের মানুষের জন্য তাদের অবদান বয়ে চলেছে এখনও।     

আমাদের কাগজ/এমটি