সারাদেশ ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০৩:২১

দেড় হাজারের অধিক রোহিঙ্গার হদিস নেই!

আমাদের কাগজ রিপোর্ট: বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির শূন্যরেখায় আগুনে বসতঘর হারিয়ে তুমব্রু বাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেওয়া হবে রোববার। গত ৩০ জানুয়ারি গণনায় আশ্রিত রোহিঙ্গা পাওয়া গেছে হাজার ৯৭০ জন।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, আন্তর্জাতিক রেডক্রস রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি (আইসিআরসি) কক্সবাজার উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশ পেয়ে গণনাকারীকে দিয়ে তুমব্রুতে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের গণনা করা হয়। যার সমন্বয়কের দায়িত্ব ছিলেন একজন মেম্বার।

তিনি আরও জানান, অবস্থানরত রোহিঙ্গার সংখ্যা হাজার ৯৭০ জন। যা পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে আন্তর্জাতিক রেডক্রস রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি (আইসিআরসি) কক্সবাজারের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ২০১৭ সালের শেষের দিকে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে তুমব্রু শূন্যরেখায় আশ্রয় নেয়া প্রায় হাজারের অধিক রোহিঙ্গার খাবার বিতরণ করেছিলেন তারা। পরে কমতে কমতে সোয়া হাজারে নেমে আসে। ৩০ জানুয়ারির গণনায় এদের সংখ্যা হাজার ৯৭০ জন। বাকিরা কোথায় তারা বলতে পারছেন না।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমেন শর্মা বলেন, আশ্রিত রোহিঙ্গাদের গণনার কাজ শেষ হয়েছে। তাদেরকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হবে।এই রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারের উখিয়া বা টেকনাফ আশ্রয়শিবিরে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এর আগে, ১৮ জানুয়ারি নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা শিবিরে গোলাগুলি-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় রোহিঙ্গা হামিদ উল্লাহ নিহত এবং দুজন আহত হয়েছেন। সময় শূন্যরেখার বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের বসতঘর পুড়ে যায়। এরপর তুমব্রু বাজারে তাবু টাঙিয়ে আশ্রয় নেয় তারা।

ওই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শরণার্থী ছিল হাজারের বেশি, তবে দেড় হাজারের অধিক রোহিঙ্গা কোথায় আশ্রয় নিয়েছে তা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেউ জানাতে পারেনি।

 

 

 

 

আমাদের কাগজ/টিআর