জাতীয় ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০৬:২৩

টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ভয়ভীতি দেখাতেন তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তা সেজে চাঁদাবাজি করার অভিযোগে মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আট জনকে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মো. শাহিন ওরফে বল্লা শাহীন (২৫), মো. ইউসুফ চৌধূরী (২৮), মো. আব্দুল আলিম (২৩), মো. মামুন কাজী (৩২), মো. দেলোয়ার হোসেন (২৬), সুলতান মাহিদ পিয়াস (৩৩), মো. তুষার (৩১) ও মো. রাহাদ (২৮)।

সূত্র জানায়, শুক্রবার গভীর রাতে মিরপুরের দক্ষিণ পীরেরবাগ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা প্রত্যেকেই পেশাদার অপরাধী। প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তার মধ্যে বল্লা শাহীন ২০১৯ সালে মিরপুরের আলোচিত সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মিরপুর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে বল্লা শাহীন গ্রেপ্তার বাকিদের নিয়ে দক্ষিণ পীরেরবাগ আল বারাকা বেকারি নামের প্রতিষ্ঠানে যান। সেখানে গিয়ে প্রথমে নিজেকে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। কিন্তু এ পরিমাণ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা বেকারিতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা আছে অভিযোগ করে পরে সমস্যা হবে বলে ভয়ভীতি দেখান।

এক পর্যায়ে বেকারির কর্মচারীরা ১৩ হাজার ৫০০ টাকা দিলেও তারা বিভিন্ন গালিগালাজ করেন। এসময় দোকানের এক কর্মচারী কৌশলে পুলিশকে ফোন করে বিষয়টি জানান। পরে অভিযান চালিয়ে বল্লা শাহীন ও তার পুরো দলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বল্লা শাহীন ও তার দল ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তা সাজলেও এর আগে অন্য বেশে চাঁদাবাজি করেছে। ২০২০ সালে মোহাম্মদপুরে তারা পুলিশ সেজে চাঁদাবাজি করে। এ ঘটনায়ও তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

ওসি জানান, বল্লা শাহীন ও তার দল গতকাল ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তা সেজেছেন। এর আগে তারা অন্য বেশেও চাঁদাবাজি করেছেন। ২০২০ সালে মোহাম্মদপুরে তারা পুলিশ সেজে চাঁদাবাজি করেন। এ ঘটনায়ও তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। বল্লা ও তার সহযোগীরা পেশাদার অপরাধী। ২০১৯ সালে মিরপুরের আলোচিত সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি বল্লা। এছাড়া তার বিরুদ্ধে মাদক, চাঁদাবাজি, হত্যা প্রচেষ্টাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৪টি মামলা রয়েছে। আরেক আসামি সুলতান মাহিদ পিয়াসের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে ৩টি। এছাড়া মো.ইউসুফ চৌধুরী, মো. আব্দুল আলিম, মো. মামুন কাজী, মো. দেলোয়ার হোসেন ও রাহাতের বিরুদ্ধে ২টি করে মামলা রয়েছে।

আমাদেরকাগজ/এইচএম