জাতীয় ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১২:০৬

সম্ভাব্য রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর সংক্ষিপ্ত পরিচয়

আমাদের কাগজ রিপোর্ট: দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। সাবেক দায়রা জজ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন। রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে তার পক্ষে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।

দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন আজ রবিবার (১২ এপ্রিল)। এদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টার মধ্যে নির্বাচন কর্মকর্তার (সিইসি) দফতরে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। এদিকে এটা স্পষ্ট যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ যাকে রাষ্ট্রপতি পদের জন্য মনোনীত করবে, তিনিই পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হবেন। নানান আলোচনার পর অবশেষে দলটির মনোনীত প্রার্থীর নাম প্রকাশ করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। 

ওবায়দুল কাদের তার রাষ্ট্রপতি হিসেবে সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর নাম ঘোষণা করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রাচীনতম এবং ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে মনোনয়ন প্রদান করেছে। আওয়ামী লীগের সভাপতি, আওয়ামী লীগের সংসদীয় দল গত ৭ ফেব্রুয়ারি বৈঠকে সংসদীয় দলের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ হাসিনার উপর যে দায়িত্ব অর্পণ করেছে, তিনি এ মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছেন।’

ওবায়দুল কাদের সম্ভাব্য রাষ্ট্রপতির পরিচয় তুলে ধরে বলেন, ‘মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন পেশায় একজন আইনজীবী এবং বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের একজন সদস্য। তিনি ১৯৪৯ সালে পাবনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইতোপূর্বে জেলা, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একজন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।’

মোহাম্মাদ সাহাবুদ্দিন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাও ছিলেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তিনি ১৯৭১ সালে পাবনা জেলায় স্বাধীন বাংলা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেন।’ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর হত্যার পর তিনি দীর্ঘ তিন বছর কারাগারে বন্দি ছিলেন বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘১৯৮২ সালে তিনি বিসিএস ক্যাডার হিসেবে বিচার বিভাগে যোগ দান করেন। ১৯৯৫ সালে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হন।’

তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইন মন্ত্রণালয়ের নিযুক্ত কোঅর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তিনি ২০০১ সালে সাধারণ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বিএনপি-জামায়াত জোটের নেতাকর্মীদের দ্বারা সংঘটিত হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন এবং মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অনুসন্ধানে গঠিত বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশন-এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।’

মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ১৯৭৪ সালে পাবনা জেলা যুবলীগের যুবলীগের দায়িত্ব পালন করেন। 

তিনি ব্যক্তিগত জীবনে এক পুত্র সন্তানের পিতা এবং তার স্ত্রী প্রফেসর ড. রেবেকা সুলতানা সরকারের সাবেক যুগ্ম সচিব ছিলেন।

 

 

 

আমাদের কাগজ/টিআর