খেলাধুলা ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০১:৫৯

নতুন ইতিহাসের অপেক্ষায় মিরপুর স্টেডিয়াম

স্পোর্টস ডেস্ক : শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে জমজমাট লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও প্রথমবারের মতো ফাইনালে ওঠা মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার সিলেট স্ট্রাইকার্স। বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি বিপিএলে শিরোপার ট্রফির লড়াইয়ে ফল যাই হোক, যে দলের মুখেই শোভা পাক শেষ হাসি, ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রচিত হবে নতুন ইতিহাস। মিরপুর স্টেডিয়ামে আজ সশরীরে উপস্থিত দর্শক, ক্রিকেট অনুরাগীরা এক নতুন ইতিহাসের সাক্ষী হবেন। অন্তত অতীত ইতিহাস ও পরিসংখ্যান সে কথাই বলছে।

বিপিএলে চারবার ফাইনালে খেলেছেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। যেখানে কোনোবারই পরাজয়ের মুখ দেখেননি নড়াইল এক্সপ্রেস। ঢাকা, কুমিল্লা ও রংপুর তিন দলকে চ্যাম্পিয়ন করানোর দুর্লভ কৃতিত্ব দেখিয়েছেন তিনি। ম্যাশের নেতৃত্বে প্রথম দুই আসরে ঢাকা ২০১২ ও ২০১৩ সালে পরপর দুবার চ্যাম্পিয়ন হয়। এর পরেরবার মাশরাফির অধিনায়কত্বে শিরোপা জেতে কুমিল্লাও। আর সর্বশেষ ২০১৭ সালে রংপুরের অধিনায়ক হিসেবে শেষবার ট্রফি জেতেন মাশরাফী।

সিলেটের হয়ে জিতলে ব্যক্তিগত পঞ্চম শিরোপা জয়ের পাশাপাশি চার দলের হয়ে ট্রফি জয়ের রেকর্ড গড়বেন বাংলাদেশের ইতিহাসে সেরা এই কাপ্তান। একই সঙ্গে সিলেট অধরা চ্যাম্পিয়নের গৌরব অর্জন করবে। এদিকে ফাইনালে হারার রেকর্ড নেই কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েসেরও। তার অধীনে বিপিএলে এর আগে ২০১৮ ও ২০২২ সালে দুইবার ফাইনাল খেলে দু’বারই চ্যাম্পিয়ন হয় কুমিল্লা। এবার শিরোপা জিতলে তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক হবেন ইমরুল।

একইভাবে ফাইনালে আগে হারের রেকর্ড নেই কুমিল্লার কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দীনের। আর টিম কুমিল্লাও আগে কখনই ফাইনালে পরাজিত হয়নি। এর আগে ২০১৫, ২০১৮ ও ২০২২ সালে কুমিল্লার চ্যাম্পিয়ন কোচ ছিলেন সালাউদ্দীন। ফাইনালে যেকোনো একজনকে তো হারতে হবে। সেটা হলে নতুন ইতিহাস হবে। প্রথমবার ফাইনালে হারের রেকর্ড হবে মাশরাফি অথবা ইমরুলের। একইভাবে কুমিল্লার কোচ সালাউদ্দীনের।

তাই সিলেট আর কুমিল্লার যেই হারুক কিংবা জিতুক, একটি রেকর্ড অক্ষুণ্ন থাকবেই। অর্থাৎ যার ভাগ্যই সুপ্রসন্ন থাকুক না কেন, কোনো না কোনো নতুন ইতিহাসের দেখা মিলবেই। সেই ইতিহাসটা কার পক্ষে, কার বিপক্ষে যায় সেটাই এখন দেখার বিষয়!

আমাদেরকাগজ/ এইচকে