মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান সেলিম হত্যা মামলায় জড়িত আসামিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার, বিচার ও ফাঁসির দাবিতে পাবনার ঈশ্বরদীতে সোমবার স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল পালিত হয়েছে।
ঈশ্বরদীর মুক্তিযোদ্ধাদের ডাকে সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অর্ধদিবস হরতাল পালন করা হয়। গত বুধবার শহরে ‘মুক্তিযোদ্ধা-জনতা’ আয়োজিত এক জনসভায় এই হরতালের ঘোষণা দেন মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান সেলিম হত্যা মনিটরিং কমিটির আহ্বায়ক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নায়েব আলী বিশ্বাস।
হরতালের সমর্থনে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, ব্যবসায়ী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অবস্থান নেন। গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে হরতালকারীরা। হরতালে ঈশ্বরদী বাস টার্মিনাল থেকে আন্তজেলা রুট ও ঢাকাসহ দূরপাল্লার রুটে যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ ছিল। শহরের কোনো দোকানপাট খোলেনি। শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে পুলিশ মোতায়েন ছিল।
মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয় শহরের রেলগেট ট্রাফিক মোড়ে। এখানে সকাল ছয়টা থেকে মুক্তিযোদ্ধারা অবস্থান নেন। পথসভায় বক্তব্য দেন ঈশ্বরদী মুক্তিযোদ্ধা শহীদ স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি ফজলুর রহমান ফান্টু, মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা চান্না মণ্ডল, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার আবদুল খালেক, সাবেক প্রধান শিক্ষক সিরাজ উদ্দিন বিশ্বাস, পাকশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হবিবুল ইসলাম, জাসদ নেতা জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
পথসভায় বক্তারা বলেন, ঈদের আগে মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান হত্যায় জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তার না করা হলে ভবিষ্যতে ২৪ ঘণ্টার হরতালসহ আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।