সারাদেশ ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১০:৩০

বেড়ে যাচ্ছে খরচ, দুশ্চিন্তায় ব্যাচেলর  

ছবি - সংগৃহীত

ছবি - সংগৃহীত

তুষার আহম্মেদ: দেশের বাজার গুলোতে বেড়েছে নিত্য সব পণ্যের দাম। লাগামহীন এই বাজারের মতন বেড়েছে মেস বাসার বাড়তি খরচও। যেখানে আগে প্রতি একজনের খাবারের (মিল) বা এক বেলার খাবারের মূল্য নির্ধারণ ছিল সর্বোচ্চ ৩৩.৭০ পয়সা।  সেখানে এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫.৫৬ টাকা কিংবা তারও অধিক। এতে দিশেহারা রাজধানীর ব্যাচেলর ও বাড়ির মালিকরা।   

পর্যালোচনা করে দেখা যায়, মেস ভাড়া আগের তুলনায় বাড়তি। তার মাঝে একে একে নিত্য পণ্যের দামও সেই পরিমানে বাড়তি বলে কিছু বাড়ির মালিক ব্যাচেলরদের বাসা ভাড়া দেরিতে পাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে। জানা যায়,মাসিক খরচ বেড়ে যাওয়াতে বাসা ভাড়া দিতে দেরি হয় বেশির ভাগ ব্যাচেলরদের। 

আমিনুল হক একজন বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন। তিনি জানান, তার মাসিক খরচ আগে ছিল ১০,০০০ টাকা এখন সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩,০০০ হাজারেরও বেশি। গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া ও খাবারের বিল। 

জিসান আহম্মেদ নামে এক কলেজ পড়ুয়া ছাত্র জানান, আগে মাস প্রতি বাড়ি থেকে যে টাকা আনা হত  তার থেকে দেড়গুণ টাকা বেশি আনতে হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে, খেয়ে পড়ে বাঁচতে কঠিন হয়ে পড়বে বলে জানান তিনি। 

এদিকে এক বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে, তিন মাসের ব্যবধানে এমন সংকটে ভুগছে ব্যাচেররা। যেখানে সপ্তাহে ৩ দিন মাংস ভাত খেতেন । সেখানে সপ্তাহে ২ দিন ঠিক ভাবে খেতে পারছেন না কেউ কেউ। এমন চলতে থাকলে পড়াশুনা ছেড়ে গ্রামে ফিরতে হবে বলে ক্ষোপ ঝাড়ছেন মেসে থাকা ব্যাচেলররা।

বিশ্লেষকরা বলছে, দেশে উৎপাদনমুখী খাতে উদ্যোক্তা না বাড়লে বাড়তি খরচের চাপ পড়বে দেশের ৬৫% ব্যাচেলর। সরকার যদি নিত্য পণ্যের দাম নির্ধারণ না করেন তাহলে ভোগান্তি পড়বেন দেশের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। 

উল্লেখ্য,কান্নাচাপা জীবনের নাম ব্যাচেলর। ভাড়াটিয়া খুঁজছেন বাড়ির মালিক। আর একটু কম টাকায় থাকার সুযোগ চাচ্ছেন ব্যাচেলর। 

আমাদের কাগজ/এমটি