জাতীয় ৯ মার্চ, ২০২৩ ০৬:১১

সিনেমা হলগুলোকে আধুনিক করতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের সিনেমা হলগুলো এনালগ, অত্যন্ত পুরানো। আমাদের যারা মালিক তাদের সঙ্গে বহু বার বসেছি, তাদেরকে বহু বার অনুরোধ করেছি, আপনারা এগুলোকে আধুনিক করে ফেলেন।

তিনি বলেন,পাকিস্তানের সময় বাঙালিরা সিনেমা করতে পারে বা করতে পারবে, এটা পাকিস্তানিরা সব সময় অবহেলার চোখে দেখতো। ১৯৫৬ সালে যখন আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের সুযোগ পায়, হোসেন সোহরাওয়ার্দী তখন প্রধানমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ছিলেন মন্ত্রিপরিষদের সদস্য। তখন বাঙালিরা যেন সিনেমা তৈরি করতে পারে বঙ্গবন্ধু সেই উদ্যোগটা নিয়েছিলেন।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) বিকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২১ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রী হিসেবে ১৯৫৭ সালের ২৩ এপ্রিল সংসদে আমাদের এই বাংলাদেশে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান চলচ্চিত্র উন্নয়ন বিল, এই আইনটি পাশ করেন বঙ্গবন্ধু। তার উদ্যোগে আইনটি পাশ হয়। বিশেষ করে পূর্ব পাকিস্তান চলচ্চিত্র সংস্থা, বিশেষ করে এফডিসির কাজ শুরু হয়। সেখানে সিনেমা নিমার্ণও শুরু হয়েছিল।

সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের সিনেমা হলগুলো এনালগ, অত্যন্ত পুরানো। আমাদের যারা মালিক তাদের সঙ্গে বহু বার বসেছি, তাদেরকে বহু বার অনুরোধ করেছি, আপনারা এগুলোকে আধুনিক করে ফেলেন। এটা করার দরকার ছিল। এবার আমরা ১ হাজার কোটি টাকার আলাদা ফান্ড রেখে দিয়েছি। সেখান থেকে যে কেউ প্রাথমিকভাবে অল্প সুদে ১০ কোটি টাকা ঋণ নিতে পারবে। জেলা- উপজেলা পর্যায় পযন্ত যাতে সিনেমা হল হয়, বিশেষ করে নতুন ভাবে সিনেপ্লেক্স গড়ে তোলেন। এক সময় আধুনিক প্রযুক্তির কারণে মানুষ সিনেমা হল বিমুখ হয়ে গিয়েছিল। এখন কিন্তু আবার ফিরে আসছে। এখন কিন্তু মানুষ সিনেমা হলমুখী হচ্ছে। সেই রকম বই পেলে মানুষ যায়, তার প্রমাণও আমরা পেয়েছি। আমাদের কয়েকটি ভালো সিনেমা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের শিল্পীরা যখন কাজ করেন তখন খুবই নাম ডাক থাকে, কিন্তু এক সময় খুবই র্দুবস্থায় পড়ে যায়। এটা আরো বেশি নজরে এসেছে এই করোনাকালীন সময়ে। অনেকেই কোনো কাজই পেতেন না। তবে আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করেছি। 

শেখ হাসিনা বলেন, চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন-২০২১ পাশ করে দিয়েছি। চলচ্চিত্রের সাথে যারা সম্পৃক্ত, আমাদের যন্ত্র শিল্পী, কলাকৌশলী, মঞ্চসজ্জা থেকে শুরু করে আছে তাদের সকলকে নিয়েই এই ট্রাস্ট করা। এটার একটা সীল মানিও দেওয়া হচ্ছে। আমাদের দেশের অনেক বিত্তশালী আছে, তারাও এখানে অনুদান দিতে পারে। শিল্পীরাও যে যা অর্জন করেন কিছুটা দিয়ে রাখলে পরে আগামী দিনে যারা কাজ করবে তাদের জন্যও কাজ করবে। আপনাদের জন্যও ভালো হবে। ট্রাস্টে যারা অনুদান দিবে সেই তালিকাটা যেন থাকে, তাহলে দেখতে পারবে কে কতটুকু সহযোগীতা করল। আমার পক্ষ থেকে যা আমি করে যাচ্ছি।  

চলচ্চিত্র নিমার্ণের ক্ষেত্রে কিছু অনুদান দেওয়া হয় জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, করোনাকালীন সময়ে অর্থনীতিক মন্দা এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সব কিছুর দাম বেড়ে গেছে। মূল্যস্ফীতি দারুনভাবে বেড়ে গেছে। সেখানে আমরা যে পরিমান অনুদান দিচ্ছি, সেটা দিয়ে পূর্ণাঙ্গ চলচ্চিত্র নিমার্ণ বা যেটাই করি সেটা কিন্তু যথেষ্ট না। এটা একটু বাড়াতে হবে। আগামী বাজেটে নিজেও একটা উদ্যোগ নেব অনুদানের পরিমাণটা বাড়িয়ে দেওয়ার। ২৫ লাখ টাকা একটা পূর্ণাঙ্গ সিনেমার জন্য কিছু না, এটা দিয়ে কোনো কাজই হবে না। স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমার জন্য মাত্র ২০লক্ষ টাকা, এটা হয় না।

আমাদেরকাগজ/এইচএম