আমাদের কাগজ রিপোর্ট: প্রক্টর,সহকারী প্রক্টর ও আবাসিক হলের প্রভোস্টসহ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রশাসনের বিভিন্ন দায়িত্বে থাকা ১৭ জন একযোগে পদত্যাগ করেছেন। তারা প্রত্যেকেই রেজিস্ট্রার বরাবর পদত্যাগ জমা দিয়েছেন।
রোববার (১২ মার্চ) দুপুর দেড়টার সময় ঢাকা মেইলকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমেদ।
তিনি বলেন, দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ১৭ পদে থাকা ১৫ জন শিক্ষক রেজিস্ট্রার বরাবর পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন। তারা প্রত্যেকেই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন। পত্রগুলো গৃহীত হয়নি। প্রক্রিয়াধীন আছে। রেজিস্ট্রার অফিস থেকে এগুলো উপাচার্য অফিসে যাবে। তারপর সেখান থেকে সিদ্ধান্ত আসবে।
পদত্যাগকারীরা হলেন, প্রক্টরিয়াল বডি থেকে প্রক্টর অধ্যাপক ড. রবিউল হাসান ভুইয়া, সহকারী প্রক্টর এস এম জিয়াউল ইসলাম, ড. শহীদুল ইসলাম, ড. রামেন্দু পারিয়াল, মো. শাহরিয়ার বুলবুল ও গোলাম কুদ্দুস লাভলু।
শহীদ আব্দুর রব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড.রবিউল হাসান ভূইয়া, শাহজালাল হলের আবাসিক শিক্ষক মো.শাহরিয়ার বুলবুল, এ এফ রহমান হলের আবাসিক শিক্ষক আনাবিল ইহসান, প্রীতিলতার হলের আবাসিক শিক্ষক ফারজানা আফরিন রূপা, শহীদ আব্দুর রব হলের আবাসিক শিক্ষক ড. এইচ এম আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, শহীদ আব্দুর রব হলের আবাসিক শিক্ষক রমিজ আহমেদ সুলতান, শামসুন নাহার হলের আবাসিক শিক্ষক শাকিলা তাসমিন, খালেদা জিয়া হলের আবাসিক শিক্ষক ড. মো. শাহ আলম, নাসরিন আক্তার ও উম্মে হাবিবা এবং আলাওল হলের আবাসিক শিক্ষক ঝুলন ধর।
তাছাড়া আই কিউ এ সি অতিরিক্ত পরিচালক ড. মো ওমর ফারুকও পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন। এ বিষয়ে প্রক্টরসহ আরও কয়েকজনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা রিসিভ করেননি।
এদিকে প্রক্টরের পদত্যাগের আধ ঘণ্টার মধ্যে নতুন প্রক্টরের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে মেরিন সায়েন্সেস ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. নূরুল আজিম সিকদারকে।
এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার বলেন, নতুন প্রক্টরের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে মেরিন সায়েন্সেস ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. নূরুল আজিম সিকদারকে। তাছাড়া, আরও দুইজনকে সহকারী প্রক্টরের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
আমাদের কাগজ/টিআর
