সারাদেশ ১৪ মার্চ, ২০২৩ ০২:২৭

কলেজে পতাকা উড়ছে ,নেই শিক্ষক-শিক্ষার্থী

ছবি - সংগৃহীত

ছবি - সংগৃহীত

নেত্রকোনা প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনায় শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ছাড়াই চলছে এমপিওভুক্ত কলেজ। নেই শিক্ষার্থী, নেই শিক্ষকও, শুধু উড়ছে জাতীয় পতাকা। এমনি দৃশ্য চোখে পড়ছে জেলার মদন উপজেলায়  ‘জনতা ও কারিগরি বানিজ্য কলেজে’।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একটি প্লাস্টিকের পাইপের বুক চেতিয়ে শুধু পতাকা উড়তে। কিন্তু অধ্যক্ষের রুমসহ সকল ক্লাসরুম তালা বদ্ধ। কয়েক ঘণ্টা অবস্থান করলেও শিক্ষক কিংবা শিক্ষার্থীদের কাউকেই দেখা মেলেনি। 
এ সময় কথা হয় স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে। তারা বলেন, আমরা এখানে শুধু কলেজটাই দেখে আসছি। কিন্তু কোনো দিন শিক্ষক বা ছাত্র-ছাত্রী দেখিনি। আমরা চাই কলেজটি যেন খুব তাড়াতাড়ি চালু হয়। আমাদের ছেলে-মেয়েরা যেন সুন্দরভাবে লেখাপড়া করতে পারে।

ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামিউল হায়দার শফি বলেন, আমি কলেজ অধ্যক্ষকে কয়েকবার কলেজের ক্লাস সুন্দরভাবে পরিচালনার কথা বলেছি, কিন্তু তিনি সেটা মানেন না। তাই আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করেছি।

উক্ত প্রতিষ্ঠানের সংবাদ সংগ্রহের তথ্যের জন্য অধ্যক্ষ আরিফুর রহমান খানকে ফোন হলে, তিনি দৈনিক যায়যায় দিন পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মন্জুরুল হক নামের এক ব্যক্তির ভয় দেখিয়ে হুমকি দেন। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মন্জুরুল ব্যক্তি নাভানা ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানিতে চাকরি করার পাশাপাশি ওই কলেজের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানজিনা শাহরীন বলেন, আমি গত বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) গভর্নিং বডির মিটিংয়ে অধ্যক্ষকে সুন্দরভাবে কলেজ পরিচালনার নির্দেশনা দিয়েছি।

পরে কলেজটির অধ্যক্ষ বলেন, কলেজে শিক্ষকরা ছিলেন, কিন্তু এখন হয়তো খাইতে গেছেন। আর এটা কারিগরি কলেজ হওয়ায়, ছাত্র-ছাত্রী তেমন আসে না।

কলেজটি ২০০৫ সালে স্থাপিত হয়েছিল; যা পরবর্তীতে মদন বাজারে একটি ভাড়া বাসাতে থাকাকালীন সময় ২০১৫ সালে এমপিওভুক্ত হয়। তবে প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান অবস্থান ফতেপুর ইউনিয়নের হাসনপুর গ্রামে। আমাদের কাগজ/এমটি