আমাদের কাগজ ডেস্কঃ সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীর কাঁচা বাজারে মুরগি ও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। এছাড়া অপরিবর্তিত আছে অন্য সব পণ্যের দাম। শুক্রবার (১৭ মার্চ) সকালে রাজধানীর রায়ের বাজার ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।
ছুটির দিনে বাজারে টমেটো কেজি ৪০। প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। লম্বা ও গোল বেগুনের কেজি ৮০ টাকা। এছাড়া- শিম ৪০-৫০ টাকা, করলা ১০০-১২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০, পটল ৮০, ঢেঁড়স ১০০, কচুর লতি ১০০, পেঁপে ৩০-৪০, বরবটি ১২০ ও ধুন্দুল ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। চাল কুমড়া প্রতিটি ৫০-৬০ টাকা পিস হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকা। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। এছাড়া আকার ভেদে লাউ ৫০-৬০ টাকা।
সবজি বিক্রেতা কাদের বলেন, সবজির দাম বাড়তি। রোজার আগে সবজির দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে আজকের বাজারেও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে মুরগি। ব্রয়লার মুরগির কেজি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ২৫০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি ৩৫০ টাকা। লেয়ার মুরগির বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ২৯০ টাকা কেজিতে।
মুরগি বিক্রেতা মো. রুবেল বলেন, জীবনে কখনো ব্রয়লার মুরগি ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করিনি। দাম বাড়ার পেছনে মূল কারণ সিন্ডিকেট। রোজায় সিন্ডিকেটের কারণে আবারও বাড়তে পারে।
বাজারে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। এক কেজি গরুর মাংসের দাম ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকা। বাজারে খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১০৫০-১১০০ টাকা কেজিতে।
এছাড়া আদা ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, চায়না আদা ২২০ টাকা, আলু ২৫ থেকে ৩০ টাকা, খোলা চিনি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১৪০ টাকা, ইন্ডিয়ান মসুর ডাল ১২০-১২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে খোলা আটার কেজি ৬০ টাকা ও প্যাকেট আটা ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা আগে ৭০ টাকা। দুই কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।
বাজারে বর্তমানে সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে লিটার প্রতি ১৮৭ টাকা। লবণ ৩৮-৪০ টাকা কেজি।
ফার্মের মুরগির ডিম এক ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।
আমাদের কাগজ /এমটি