???? ? ??????? ১৭ মার্চ, ২০২৩ ০২:২৪

পাঙ্গাস-তেলাপিঁয়ার অতিরিক্ত দাম, ব্যাচেলেরদের কপালে চিন্তার ভাঁজ 

ছবি - সংগৃহীত

ছবি - সংগৃহীত

আমাদের কাগজ ডেস্কঃ রাজধানীর রায়ের বাজারে মাছের দাম আগের তুলনায় বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটিতে বাজারে এসেছেন একটি বেসরকারি ব্যাংক কোম্পানির কর্মী আমিনুল ইসলাম। নিত্য পন্যের দাম বৃদ্ধির কথা জানতেও জানতেন না এখন মাছের দামও আগুন। বেড়েছে সব রকম মাছের দাম। 

সে সময় পাশে থাকা জিসানুর রহমান নামের এক স্টুডেন্ট ব্যাচেলর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ব্যাচেলেরদের মাছ হিসেবে যে পাঙাস, তেলাপিঁয়া পরিচিত সেই মাছেরও অতিরিক্ত দামে ছোঁয়াও যাচ্ছে না। শুধু দাম শুনে চলে আসতে হচ্ছে। বয়লার মুরগির যে দাম বেড়েছে সেটা জানি কিন্তু মাছের দামও যে এতটা বেড়ে গেছে তা জানা ছিল না।

এদিনে শুক্রবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, অন্যান্য পণ্যের মতো সব ধরনের মাছেরই বাড়তি দাম রাখা হচ্ছে। হাকা হচ্ছে মন গড়া দামও। 

সরোজমিনে বাজার ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতারা দাম শুনে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে যাচ্ছেন। বাজারে পাঙাস মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়, তেলাপিঁয়া আকৃতিভেদে প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, রুই মাছ প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা, চাষের কই প্রতি কেজি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

এছাড়া বাজারে বড় মাঝারি সাইজের শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, ছোট শিং প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, টেংড়া প্রতি কেজি ৫০০ টাকা, পাবদা প্রতি কেজি ৪৫০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, গলদা প্রতি কেজি ৮০০ টাকা, মলা মাছ প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, কাতল মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, শোল মাছ প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আগে এই মাছগুলো তুলনামূলক কম থাকায় এসব মাছগুলোর প্রতি সাধারণ নিম্ন আয়ের ক্রেতাদের ও ব্যাচেলরদের আনাগোনা বেশি থাকতো। ফলে বাজারে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হতো এসব মাছগুলোই, কিন্তু কিছুদিন ধরে এসব মাছগুলোরও দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে গরুর মাংস কিনতে আসা ইমরান ইসলাম জানান, রাজধানীতে ব্যাচেলর থাকি। মাসিক বেতন যা পাই ঘর ভাড়া আর খাবারে চলে যায়। গ্রাম থেকে মা-বাবা এসেছে ডাক্তার দেখাতে। ভালো-মন্দ বাজার করে খাওয়াব সেই উপায় টুকু নেই। গত সপ্তাহে গরুর মাংস কিনেছি ৭০০ টাকা।শুক্রবার (১৭ মার্চ) ১ কেজি গরুর মাংস কিনতে হচ্ছে ৭৪০ থেকে ৭৫০ টাকায়।  

অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বাড়তি দামেই ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সোঁনালি মুরগি প্রতি কেজি ৩৫০ টাকায় এবং লেয়ার প্রতি কেজি ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি খাসির মাংস প্রতি কেজি ৯৫০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে মাছ বিক্রেতা সাইদুল ইসলাম বলেন, কিছু দিন ধরে সব ধরণের মাছের দাম বাড়তি যাচ্ছে। পাঙাস, তেলাপিঁয়া, চাষের কই আগে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হতো সব বাজারেই কিন্তু এখন বাড়তি দামের কারণে এগুলোর বিক্রিও কমেছে। মূলত মাছের ফিডের দাম বৃদ্ধির পর থেকে মাছের দাম বাড়তি যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, পাইকারি বাজারে হঠাৎ করেই বাড়তি দামে মাল কিনতে হচ্ছে যার প্রভাব সব খুচরা বাজারে পড়েছে। যখন যেমন দামে আমরা পাইকারি মাছ কিনে আনি, কিছুটা লাভ রেখে তেমন রেটেই বিক্রি করি। যখন কেনা ক্ষেত্রে কম দামে বাজার যাবে তখন আমরাও খুচরা বাজারে কম দামেই বিক্রি করতে পারবো।

আমাদের কাগজ/এমটি