আমাদের কাগজ ডেস্কঃ বিশ্ববাজারে লাফিয়ে বাড়ছে সোনার দাম। এর ফলে দেশের বাজারেও সোনার দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে সোনার দাম নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রতি ভরিতে সোনার দাম কী পরিমাণ বাড়ানো হবে তা নির্ধারণ করতে আজ শনিবার বৈঠকে বসছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি। বাজুসের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সর্বশেষ দেশের বাজারে দাম নির্ধারণের পর বিশ্ববাজারে এরই মধ্যে প্রতি আউন্স সোনার দাম প্রায় ১৮০ ডলার বেড়ে গেছে। গত কয়েকদিন ধরে যে হারে বিশ্বাবাজারে সোনার দাম বাড়ছে, তাতে দেশের বাজারে দাম বাড়াতেই হবে।
সূত্রটি আরও জানিয়েছে, বিশ্বাবাজারে সোনার দাম যে হারে বেড়েছে, তাতে দেশের বাজারেও সোনার দাম বড় অঙ্কে বাড়ানো হতে পারে। এতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে সোনার দাম নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে।
অবশ্য সোনার দাম কী পরিমাণ বাড়বে তা মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটিই সিদ্ধান্ত নেবে। এ বিষয়ে আজ বৈঠকে বসবে এ কমিটি। সর্বশেষ দেশের বাজারে যখন দাম সমন্বয় করা হয় সে সময় বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল এক হাজার ৮১০ ডলার।
এখন তা বেড়ে প্রতি আউন্স সোনার দাম দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯৮৮ দশমিক শূন্য ৮ ডলারে। অর্থাৎ দেশের বাজারে দাম সমন্বয়ের পর বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম ১৭৮ ডলার বেড়ে গেছে।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি দেশের বাজারে সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম এক হাজার ১৬৬ টাকা কমিয়ে ৯১ হাজার ৯৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম এক হাজার ৫০ টাকা কমিয়ে ৮৭ হাজার ১৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ৮৭৫ টাকা কমিয়ে ৭৪ হাজার ৫৯১ টাকা নির্ধারণ করে বাজুস। সেসময় সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ভরিতে ৬৯৮ টাকা কমিয়ে ৬২ হাজার ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়। বর্তমানে দেশের বাজারে এ দামেই সোনা বিক্রি হচ্ছে।
আমাদের কাগজ /এমটি