সড়ক দুর্ঘটনা ১৯ মার্চ, ২০২৩ ১১:২৫

‘এক্সপ্রেসওয়েতে এত বড় দুর্ঘটনা আগে কেউ দেখেনি’

ছবি - সংগৃহীত

ছবি - সংগৃহীত

আমাদের কাগজ ডেস্কঃ এক্সপ্রেসওয়েতে প্রায়ই কম–বেশি দুর্ঘটনা এর আগেও ঘটে আসলেও, এত বড় সড়ক দুর্ঘটনা এর আগে দেখেনি সেখান কার লোকজন। জানা যায়, পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়েতে মহাসড়কের রেলিং ভেঙে বাস খাদে পড়ে এত প্রাণহানির ঘটনা আগে ঘটেনি। লাশের সারিতে ছেয়ে আছে সেখানে। কথাগুলো বলেছেন কুতুবপুর এলাকার হায়দার আলী। দুর্ঘটনার পর তিনি একজন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছেন। 

তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়েতে কম–বেশি দুর্ঘটনা ঘটছে। তবে  এটি এক্সপ্রেসওয়েতে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা।’ 

মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় আজ রোববার সকালে ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে ১৭ যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ ভোর চারটার দিকে খুলনার ফুলতলা থেকে বাসটি ছাড়ে। পরে ভোর ৫টা ৫ মিনিটে খুলনার সোনাডাঙ্গা থেকে ইমাদ পরিবহনের বাসটি যাত্রী নিয়ে ঢাকার দিকে রওনা হয়। বাসটির চালক সকাল সাড়ে সাতটার দিকে পদ্মা সেতুর আগে এক্সপ্রেসওয়ের কুতুবপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারান। বাসটি রেলিং ভেঙে পল্টি খেয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে বাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। সকাল নয়টা পর্যন্ত ১৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

স্থায়ীয় উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, বাসটি ভরা যাত্রী ছিল। সড়ক থেকে বাসটি পড়ার সময় ডিগবাজি খায়। এ কারণে এত প্রাণহানি।

উদ্ধারকর্মী চন্দন রায় বলেন, এক্সপ্রেসওয়েতে এর আগেও বাস, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় পড়েছে। কিন্তু এবারই প্রথম এত লাশ দেখলাম। স্বজনদের হাহাকারে আকাশ ভারি। কয়েক দফা বৃষ্টি নেমেছে এখানে। 

সেখানে থাকা একজন দাবী করে জানান, এক্সপ্রেসওয়েতে চালকেরা অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালান, যা এখানে দুর্ঘটনার প্রধান কারণ।

শিবচর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু নাঈম মো. মোফাজ্জেল হক বলেন, দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৭ জন মারা গেছেন। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে কাজ চলছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত গতির কারণে বাসটির চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে সেটি খাদে পড়ে যায়। 

‘চলতে চলতে দেখলাম হঠাৎ গাড়ি বামে মোড় নিছে। লোকজন চিৎকার শুরু করে। এরপর গাড়ি উল্টে গেলো। চোখে মুখে আন্ধার দেখা শুরু করলাম।  এরপর আমার আর মনে নাই। বাস কতবার উল্টাইছে নিজেও বলতে পারি না। এরপর বাস খাদে পড়ে যায়।’ এভাবেই দুর্ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছিলেন মহারাজ খাঁ (৩০)।

আমাদের কাগজ /এমটি