আন্তর্জাতিক ২ এপ্রিল, ২০২৩ ০৩:৪৩

পানির সঙ্গে বিষ খাওয়ালেন প্রেমিকা, বললেন বেঁচে থাকলে গলায় ফাঁস দাও

ছবি - সংগৃহীত

ছবি - সংগৃহীত

আমাদের কাগজ ডেস্কঃ নিজের অমতে প্রেমিকার বিয়ে। অতপর বিবাহিতা প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে তার বাড়িতে গিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের এটাওয়ার এক যুবক। এ সময় ঠান্ডা পানীয়ের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে দেন তার প্রেমিকা। কিছু বুঝে উঠতে না পেরে পানীয় খেয়ে বাড়ি ফেরার জন্য বাসে চড়েন ওই যুবক। কিছুদূর যেতেই অসুস্থ বোধ করতে থাকেন তিনি। তখনই তিনি বুঝতে পারেন যে, পানীয়ের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

জানা যায়, দম আটকে আসতে শুরু হলে, অসুস্থ অবস্থায় নিজের ভাইকে ফোন দেন তিনি। 

তাকে জানান, তাকে পানীয়ের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে খাইয়ে দেওয়া হয়েছে। তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এর পরপই তার প্রেমিকার থেকে একটি কল আসে। যুবক ফোন ধরতেই ফোনের ও পাশ থেকে প্রেমিকা বলেন, ‘বেঁচে থাকলে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে পড়ো!’ তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের। ভয়ঙ্কর এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশে। প্রেমিককে বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ওই নারীর বিরুদ্ধে।  

পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম অঙ্কিত কুমার। তিনি হাথরসের বাসিন্দা। তার সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এটার নারায়ণ নগরের তরুণী চিত্রার। কিন্তু চিত্রার বাড়ির লোকেরা সেই সম্পর্কে মেনে না নিয়ে তার বিয়ে দিয়ে দেন। কিন্তু তার পরেও চিত্রার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল অঙ্কিতের। দীর্ঘ দিন ধরে চলা সেই সম্পর্কের কথা জানতে পারেন চিত্রার ভাই।  

পুলিশ আরও জানায়, একদিন অঙ্কিতকে নিজের বাড়িতে ডাকেন চিত্রা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অঙ্কিতকে ঠান্ডা পানীয়ের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে দেন তিনি। সেই পানীয় খেয়ে কিছু কথা বলে মেইনপুরী যাওয়ার বাসে উঠে পড়েন অঙ্কিত। বাস কিছু দূরে যেতেই ভাইকে ফোন করে অঙ্কিত জানান, দ্রুত তাঁকে যেন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতালে যখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছিলেন অঙ্কিত, সেই সময় চিত্রা ফোন করে খোঁজ নেন, অঙ্কিত বেঁচে আছেন কি না। চিত্রা অঙ্কিতকে বলেন, ‘এতেও যদি মৃত্যু না হয়, তা হলে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে পড়ো। ’ অঙ্কিত বলেন, ‘আর কিছু যদি খাওয়ানোর থাকে, তা হলে খাইয়ে দিয়ো। ’ উত্তরে চিত্রা বলেন, ‘ঠিক এ ভাবেই মরে যাও। ’ সেই কল রেকর্ডিং পুলিশের হাতে পৌঁছেছে। অঙ্কিতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে চিত্রার বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

আমাদের কাগজ/এমটি