আমাদের কাগজ ডেস্কঃ সুদানে টানা ৩ দিন ধরে চলা সংঘর্ষে অন্তত ২০০ জন নিহত হয়েছেন। সুদানে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে সেনাবাহিনী এবং আধা-সামরিক বাহিনীর মধ্যে এই সংঘর্ষ ঘটে বলে জানা যায়।
এছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর মধ্যে চলা এই লড়াইয়ে আরও ১৮০০ জন আহত হয়েছেন বলে দেশটিতে থাকা জাতিংঘের প্রতিনিধির বরাতে জানিয়েছে আল জাজিরা।
শনিবার সুদানে সামরিক নেতা আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের প্রতি অনুগত সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে মোহামেদ হামদান দাগালোর নেতৃত্বাধীন আধা-সামরিক সংগঠন র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ)।
সুদানের গণতন্ত্রে ফেরার একটি প্রস্তাব নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে চলা উত্তেনার মধ্যে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। রাজধানী খার্তুমের বাইরেও সংর্ষের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
এই দুই সামরিক নেতা এক হয়ে ২০১৯ সালে দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরকে উৎখাত করেন। দুই বছরের মাথায় হওয়া সামরিক অভ্যুত্থানেও ভূমিকা রাখেন তারা।
পরে সামরিক বাহিনী ও বেসামরিক ব্যক্তিদের মধ্যে ক্ষমতা ভাগ করে নেয়ার অলিখিত চুক্তি ভেস্তে যায়। তখন থেকে দেশটির কর্তৃত্ব আছে বুরহান ও দাগালোর নেতৃত্বে সামরিক বাহিনীর হাতে।
দাগালো বলেছেন, তার সৈন্যরা সব সেনা ঘাঁটি দখল না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে। অন্যদিকে সুদানের সশস্ত্র বাহিনীগুলোও আধা-সামরিক বাহিনী আরএসএফ-কে ধ্বংস না করা পর্যন্ত কোনো ধরনের আপোস করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।
গত শনিবার থেকে চলা এই সংঘাতের হাসপাতালগুলোতে রোগীদের ব্যাপক চাপ তৈরি হয়েছে। এর ফলে চিকিৎসার প্রয়োজনীয় মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট ও খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে। সূত্র : এএফপি
আমাদের কাগজ/এমটি