আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আল-কাদির ট্রাস্টের একটি মামলায় ইমরান খানকে গ্রেফতারের পর উত্তাল হয়ে উঠেছে পাকিস্তান। ইমরানের রাজনৈতিক দল ‘পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি’র (পিটিআই) সমর্থকরা দেশব্যাপী বিক্ষোভ শুরু করেছেন। ইসলামাবাদ, রাওয়ালপিন্ডি, লাহোর, করাচি, গুজরানওয়ালা, ফয়সালাবাদ, মুলতান, পেশোয়ার ও মারদানসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ হয়েছে।
করাচিতে বিক্ষোভকারীরা নার্সারির কাছাকাছি পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছিল। তারা পুলিশের গাড়িতে ইট-পাটকেল ছুড়ে মারে, সড়কবাতি ভেঙে ফেলে। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ারগ্যাস শেল নিক্ষেপ করে। রাওয়ালপিন্ডির মুরি সড়কেও পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ারগ্যাস শেল ছোড়ে। লাহোর, ফাইজাবাদ, বান্নু ও পেশোয়ারের সড়কে সড়কে পিটিআই সমর্থকদের স্লোগান ছিল- ইমরানের মুক্তি চাই, পাকিস্তান বন্ধ করো। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির রাজধানীতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সেখানে চারজনের বেশি জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ইমরানকে গ্রেফতারের পরই পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পিটিআই দলের সমর্থকরা করাচি, লাহোর ও পেশোয়ারের মতো প্রাদেশিক রাজধানীসহ সমস্ত বড় শহরের রাস্তায় নেমেছেন।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় শহর লাহোরে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করেছে। ওই শহরেই ইমরান খান বাস করেন।
ইমরানকে গ্রেফতারের বিষয়ে তার রাজনৈতিক দল ‘পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি ‘ বলেছে, আধাসামরিক বাহিনী রেঞ্জার্স-এর সদস্যরা ইমরানকে "অপহরণ" করেছে। রাজনৈতিক দলটি আরও বলেছে, পাকিস্তানের সাহসী জনগণকে অবশ্যই বেরিয়ে আসতে হবে এবং তাদের দেশকে রক্ষা করতে হবে।
এদিকে ইমরানকে গ্রেফতারের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আমের ফারুক।
সূত্র : আল-জাজিরা
আমাদেরকাগজ/এইচএম