আমাদের কাগজ রিপোর্ট: সেন্টমার্টিন ও সাবরাং এলাকায় আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। বাতাসের আঘাতে ঘরবাড়ি ও গাছগাছালি ভেঙে লন্ডভন্ড হয়েছে। ভাঙা গাছের আঘাতে দুইজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে এর কোনো প্রভাব পড়েনি কক্সবাজার সদর, মহেশখালী ও কুতুবদিয়ায়। কিন্তু জোয়ারের সময় পানি ও বাতাসের গতি বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, সন্ধ্যা নাগাদ ঘূর্ণিঝড় মোখা দেশের উপকূল অতিক্রম করবে। এরইমধ্যে ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগ সেন্টমার্টিন অতিক্রম করেছে। এ সময় সেন্টমার্টিনে আছড় লেগেছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগ ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে সেন্টমার্টিন হয়ে মিয়ানমারের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এ সময় আঘাত হেনেছে সেন্টমার্টিনে। তবে সন্ধ্যা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা কমে আসবে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এখনো কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ সেন্টমার্টিন জোনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সহকারী উপপরিদর্শক মাহফুজ বলেন, মোখার প্রভাবে প্রচুর বাতাস আর বৃষ্টি হচ্ছে। পরিস্থিতি অস্বাভাবিক। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি এখনো বলা যাচ্ছে না।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বাতাসের আঘাতে গাছ ভেঙে একজন নিহত হয়েছেন। তবে তার পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, মৃত্যুর খবর শুনেছি। তবে সেন্টমার্টিনে যোগাযোগ করা সম্ভব না হওয়ায় নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার তঞ্চঙ্গা বলেন, কুতুবদিয়া উপজেলায় মোখার তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। তবে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। কোথাও ক্ষতির খবর আমাদের কাছে নেই। তারপরও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা নিম্নাঞ্চল পরিদর্শন করে দেখব।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আবু সুফিয়ান বলেন, এখন পর্যন্ত কক্সবাজারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে সাগরে জোয়ার আসলে পানি ও বাতাসের তীব্রতা কিছু বাড়তে পারে। এ পর্যন্ত দুই লাখের অধিক মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা সেন্টমার্টিন নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। বর্তমানে সেখানে বাতাসের গতি বেড়েছে। মানুষকে আতংকিত না হয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে প্রশাসনের সমন্বয় হয়েছে। যে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন।
আমাদের কাগজ/টিআর