আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অপেক্ষার পালা আজ শেষ। আগামীকাল রবিবার (২৮ মে) তুরস্কে দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর এই নির্বাচনই নির্ধারণ করবে রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান আরও পাঁচ বছর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হিসেবে থাকতে পারবেন কিনা।
১৪ মে তুরস্কে রাষ্ট্রপতি ও সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরদোগান মোট ভোটের ৪৯.৫২ শতাংশ পেয়েছেন। অন্যদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোগ্লু পেয়েছেন ৪৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ ভোট। যেহেতু তাদের কেউ একাই ৫০ শতাংশ ভোট পাননি, তাই নির্বাচনটি রান অফে পরিণত হয়েছিল।
তবে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা শনিবার (২৭ মে) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে দেশটি রান-অফ নির্বাচন নিয়ে খুব বেশি উত্তাপ লক্ষ্য করছে না। দুই সপ্তাহের মতো দেখা গেছে। যদিও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট শাসন কায়েম হওয়ার পর প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয়বার (রান-অফ) ভোট দিতে যাচ্ছে দেশটির ভোটাররা।
"এটি একটি ভিন্ন অনুভূতি," ইস্তাম্বুলের তোফানের বাসিন্দা ৪৯ বছর বয়সী সোনার ওগোরলু বলেছেন। আমি মনে করি নির্বাচন শেষ। তবে রোববার আরেকটি নির্বাচন। আমি অবশ্যই ভোট দেব। কিন্তু ব্যাপারটা অদ্ভুত মনে হচ্ছে, কারণ দুই সপ্তাহ আগের মতোই ছিল পরিবেশ। সে তুলনায় সবকিছু বেশ শান্ত।
দেশটির অধিকাংশ ভোটার মনে করছেন, ২০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা এরদোগানই আবার প্রেসিডেন্ট হবেন।
তবে ১৪ মে প্রথম ধাপের নির্বাচনের আগে নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা মনে করেছিলেন, এবার হেরে যেতে পারেন এরদায়ান। তবে সবাইকে অবাক করে তিনি কামালের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন।
নির্বাচনের প্রথম ধাপে এরদোয়ানকে ‘ক্ষমতাচ্যুত’ করতে না পারার বিষয়টি বিরোধীদলীয় সমর্থকদের জন্য বেশ বড় একটি ধাক্কা হিসেবে এসেছে। তাদের অনেকেই এখন বেশ হতাশ। তাদেরই একজন সিহাঙ্গিরের কাপরের দোকানের ব্যবসায়ী ওলকে।
তিনি আল জাজিরাকে বলেছেন, ’১৪ মের আগে আমি অনেক আশাবাদী ছিলাম। কারণ ভেবেছিলাম অবশেষে এরদোয়ানের কাছ থেকে মুক্তি পাব। তবে এখন মনে হচ্ছে সে অপ্রতিরোধ্য।’
আমাদেরকাগজ/এইচএম