ঈদের আগেই ঘরের যেসব কাজ গুছিয়ে রাখবেন!
আমাদের কাগজ ডেস্ক : আর মাত্র কয়েক দিন পরই পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। কোরবানির দু-তিন দিন ব্যস্ততা একটু বেশি থাকে। কারণ, এই সময় পশু কোরবানির পর মাংস ধুয়ে সংরক্ষণ করা থেকে শুরু করে রান্না করা পর্যন্ত অনেক কিছুই দরকার হয় হাতের কাছে। আর হাতের কাছে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র না থাকলে ঈদের দিন রান্নাঘরেই বেশি সময় ব্যয় হয়। ঈদের দিনের কাজগুলো যদি আগের দিন কিছুটা কমিয়ে ফেলা যায়, সেদিনটা একটু হালকা থাকা যায়। গুছিয়ে কাজগুলো করতে পারলে খুব সহজেই আপনার রান্নাঘর চলে আসবে হাতের মুঠোয়। ঈদের দিনের জন্য আপনার রান্নাঘরটি কীভাবে সাজাবেন, জেনে নিন।
যেসব কাজ এগিয়ে রাখবেন-
সবার প্রথমে জরুরি আপনি কয়টি আইটেম রান্না করবেন তার একটি তালিকা তৈরি করা। তালিকা তৈরি করা থাকলে সে অনুযায়ী কাজ করলে কাজ করতে সুবিধা হয়।
কোরবানিতে মাংসের বিভিন্ন পদ তৈরি হয়। তার জন্য দরকার মসলাপাতি। তাই আগেই মসলাপাতি তৈরি করে এয়ার টাইট বক্সে রেখে দিন।
পেঁয়াজ, আদা, রসুন, জিরা আগে থেকেই কেটে, বেটে বা ব্লেন্ড করে নিন। সঙ্গে অনেক বাটা মসলা রাখলে পরে পরিমাণমতো নেওয়া মুশকিল। তাই ব্লেন্ড করা মসলা ছোট ছোট বক্সে রেখে বরফ করে সেগুলোকে জিপ-লক ব্যাগ বা পলি ব্যাগে রেখে দিতে পারেন। এতে প্রয়োজনের সময় ১-২টি মসলার কিউব দিয়ে সহজেই রান্না করতে পারবেন। গরম মসলা কিনেও হাতের কাছে রাখুন।
রান্নাঘরের দা, বটি, ছুরি ধারালো না হলে কাজে দেরি হবে। তাই সেগুলো ধার করিয়ে নিন। তবে তা শিশুদের চোখের আড়ালে রাখতে হবে।
কোরবানির ঈদের অবশিষ্ট মাংস সংরক্ষণ করার জন্য ফ্রিজ পরিষ্কার করে কিছু জায়গা খালি করে রাখুন। ফ্রিজে মাংস রাখার আগে একবার ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখাটাই ভালো। আগেই ব্লিচিং পাউডার কিনে রাখুন। কোরবানির পর রান্নাঘরের দুর্গন্ধ দূর করতে কাজে লাগবে। ঈদের সময় দরকার বড় হাঁড়ি-পাতিল। সেগুলোও পরিষ্কার করে রাখুন।
যে খাবারগুলো তৈরি করতে বেশি সময় লাগবে এবং রেফ্রিজারেটরে রাখলে স্বাদ নষ্ট হবে না, সেগুলোর একটা তালিকা প্রস্তুত করে নিন ঈদের আগের রাতেই। আর যেগুলো তাৎক্ষণিক পরিবেশন করতে সেগুলো ঈদের দিনের জন্য রেখে দিন। যেমন পোলাও, সালাদ, ফ্রুট কাস্টার্ড বা ফল দিয়ে তৈরি যেকোনো খাবার হতে পারে।
অতিথি আপ্যায়ণের জন্য বিভিন্ন ডিশ, সব ধরনের চামচ, প্লেট, পিরিচ, পানীয় বা জুসের জন্য আলাদা গ্লাস ও ন্যাপকিন জাতীয় সব প্রয়োজনীয় জিনিস ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করে রেখে দিনে। এতে খাবার পরিবেশনের সময় সব সহজে পেয়ে যাবেন।
হাতের কাছাকাছি কয়েকটা পরিষ্কার পুরোনো কাপড় বা ছোট তোয়ালে রাখতে পারেন। এতে বারবার হাত মোছা, খাবার পরিবেশন করে ধুয়ে সহজে মুছে আবার পরিবেশন করতে পারবেন। তা ছাড়া রান্নাঘরের সম্মুখে অবশ্যই নরম পাপশ বা তোয়ালে রেখে দিতে পারেন। এতে পা বা স্যান্ডেল মুছে বাইরে গেলে রান্নাঘরের চিটচিটে ভাব অন্য ঘরে লাগবে না।
রান্নাবান্না ও পরিবেশনের কাজ যারা করবেন, তারা অবশ্যই অ্যাপ্রোন ব্যবহার করবেন। এতে কাপড়টি সুরক্ষিত থাকবে এবং তেল মশলা গায়ে লাগবে না। আর হাতে গ্লাভস ব্যবহার করা উচিত। এতে হাতও সুরক্ষিত থাকবে। আর হাড়ি পাতিল ও প্লেট গ্লাস আলাদা মাজুনি দিয়ে মাজুন।
কোরবানির ঈদের দিন সকালে অনেকেই হালিম তৈরি করেন। সে ক্ষেত্রে হালিম তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় মসলা বা তেলে ভাজার কাজ থাকলে আগেই তৈরি করে নিতে পারেন। কারণ, এতে ঘর গরম হয়ে যায় অথবা ধোঁয়াটে হয়ে যায়। সেগুলো যে ডিশে পরিবেশন করবেন তা আলাদা করে রাখুন এবং অবশ্যই শুকনো পাত্র ব্যবহার করুন। তা না হলে মুচমুচে ভাব থাকবে না।
আমাদের কাগজ / এইচকে