??????? ৩১ জুলাই, ২০২৩ ০২:০৪

‘তোর ভাইকে মেরে ফেলে রেখে এসেছি, যা গিয়ে লাশ নিয়ে আয়’

ছবি - সংগৃহীত

ছবি - সংগৃহীত

আমাদের কাগজ ডেস্ক: ঢাকার কেরানীগঞ্জে নৃশংসভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এক যুবককে হত্যার পর -দুর্বৃত্তরাই খবর দেন পরিবারের লোকদের। ঘটনাটি ঘটে সাইফুল ইসলাম (২৬) নামের এক যুবককে সাথে।এর আগে, গতকাল রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে বারোটায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন খেজুরবাগ স্কুল রোড এলাকায় মা-বাবার দোয়া ফেব্রিক্স হাউজের সামনে পাঁচ-ছয়জন যুবক সাইফুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথা ও হাতে কুপিয়ে যখম করে।


নিহত সাইফুল শরীয়তপুরের ভেদেরগঞ্জ থানার বাসিতপুর গ্রামের আব্দুল খালেক মিয়া ছেলে। বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে খেজুরবাগ সাতপাখি এলাকায় আওলাদ মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।

এ সময় তার ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে গুরুতর আহত অবস্থায় সাইফুলকে ফেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা সাইফুলকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের মেঝো বোন তানিয়া বেগম জানায়, আমার ভাই পুলিশের সোর্স হিসাবে কাজ করতো। এলাকার অনেক মাদক ব্যবসায়ীদের পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার কারণে তারাই আমার ভাইকে হত্যা করেছে।

গতকাল রাতে হত্যাকারীরা আমার ভাইকে হত্যা করে আমাদের ঘরের দরজায় লাথি মেরে আমাকে বলে তোর ভাইকে মেরে ফেলে রেখে এসেছি, যা গিয়ে লাশ নিয়ে আয়। আমি ভয়ে তখন দরজা খুলিনি, পরে তারা চলে গেলে দৌড়ে গিয়ে দেখি রক্ত পড়ে আছে। আমার ভাইকে আশেপাশের লোকেরা ধরে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। এরপর হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারি সাইফুল মারা গেছে।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মিটফোর্ড হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়ে লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। হত্যাকারীদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে। এ ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

আমাদেরকাগজ/এমটি