স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়িতে ৬ মণ গাঁজা
ছবি - সংগৃহীত
আমাদের কাগজ ডেস্ক: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়িতে নিষিদ্ধ মাদক গাঁজা পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় ৩ জনকে আটক করেছে রাজশাহী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গোয়েন্দা সদস্যরা। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কার্যালয়ে সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা বিভাগের উপপরিচালক জিললুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নাটোর জেলার সিংড়া থানার লালোর বাজারে সোমবার সকাল ৬টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় দুটি গাড়ি থেকে ২৪০ কেজি অর্থাৎ ৬ মণ গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার ৩৭ বছর বয়সী নুর আলিম সরকার মিলন, ৩৬ বছর বয়সী মোমিনুল ইসলাম ও ২৩ বছর বয়সী হোসাইন আহম্মেদ।
গোয়েন্দা বিভাগের উপপরিচালক জিললুর রহমান জানান, এখন মাদক চোরাচালানে গাড়িতে ব্যবহার করা হচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ বাহিনীসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের স্টিকার।
এ সময় তিনি বলেন, চক্রটি দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন জায়গায় মাদক সরবরাহ করে আসছে এমন তথ্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নিকট আসে। তারা বিভিন্ন কৌশলে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করছিল।
তিনি আরও জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার সকালে একটি গোয়েন্দা দল নাটোরের লালোর বাজারে অবস্থান নেয়। এমন সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্টিকারযুক্ত একটি গাড়িতে তল্লাশি করে গাড়ির মাঝখানে সিটের পেছন থেকে পাঁচটি বড় প্লাস্টিক বস্তা উদ্ধার করা হয়। সেখানে ১৫০ কেজি গাঁজা পাওয়া যায়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গোয়েন্দা বিভাগের উপপরিচালক জিললুর রহমান জানান, একই সময় একটি হায়েস টয়োটা মাইক্রোবাস তল্লাশি করে গাড়ির ভেতরে পেছনের সিটের ওপরে তিনটি প্লাস্টিক বড় বস্তায় ৯০ কেজি গাঁজা পাওয়া যায়। মোট ২৪০ কেজি গাঁজা এবং মাদক পরিবহন কাজে ব্যবহৃত গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, মাদক পাচারকারীরা কৌশল হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্টিকার ব্যবহার করেছিল। এর আগেও এভাবে সরকারি স্টিকারযুক্ত গাড়িতে গাঁজা ধরা হয়েছে। মাদক চোরাকারবারীরা নতুন এ পদ্ধতি ব্যবহার করে গাঁজা পাচারের চেষ্টা চালাচ্ছে। এ অবস্থায় এ ধরনের গাড়ির ওপর গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
আমাদেরকাগজ/এমটি
