আন্তর্জাতিক ১০ আগস্ট, ২০২৩ ০৭:০৮

ইমরান খানের পতনের নেপথ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ২০২২ সালের মার্চে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বৈঠকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইমরান খানকে সরানোর কথা বলা হয়। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে ইমরান খানের নিরপেক্ষ অবস্থানের কারণে তার ক্ষমতাচ্যুতি নিয়ে ওই বৈঠকে আলোচনা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুসহ দুজন কর্মকর্তা এবং যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত তৎকালীন পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আসাদ মাজিদ খান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্টারসেপ্টের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

পাকিস্তান সরকারের একটি গোপন নথি দ্য ইন্টারসেপ্টের হাতে এসেছে। নথিটি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি সূত্র ইন্টারসেপ্টকে দিয়েছে বলে জানা গেছে।

পাকিস্তান সরকারের ফাঁস হওয়া একটি নথির তথ্য অনুসারে ইমরান খান সরকারের পতন হলে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কী কী সুবিধা দেওয়া হবে তা আলোচনা হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। একইসঙ্গে এর ব্যতয় ঘটলে কী হবে তা-ও জানায় যুক্তরাষ্ট্র।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর সপ্তাহ দুয়েক পরই মার্কিন ও পাকিস্তানি কূটনীতিকদের মধ্যকার ওই বৈঠক হয়। পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির চেয়ারম্যান ইমরান খান ওই সময় মস্কো সফর করেন। যুক্তরাষ্ট্র ইমরানের ওই সফরকে রুশ পক্ষপাত হিসেবেই নিয়েছিল এবং বাইডেন প্রশাসন তাতে ক্ষুব্ধ ছিল।

ওই বৈঠকের কয়েকদিন আগে মার্কিন সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির শুনানিতে ডোনাল্ড লু পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর মস্কো সফর নিয়ে কথা বলেছিলেন।

দ্য ইন্টারসেপ্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈঠকে ডোনাল্ড লু পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মস্কো সফর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অসন্তোষের কথা জানিয়ে দেন। লু বলেন, ‘যেখানে গোটা ইউরোপের মানুষজন উদ্বিগ্ন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী সেখানে কেন একেবারে খোলাখুলি নিরপেক্ষ অবস্থান নিলেন? এমন অবস্থান নেওয়াও সম্ভব?’

আমাদেরকাগজ/এইচএম