সারাদেশ ১৪ আগস্ট, ২০২৩ ০১:২৯

নারী শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা, আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার 

ছবিঃ ইন্টারনেট

ছবিঃ ইন্টারনেট

আমাদের কাগজ ডেস্ক: কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায় দাদনের টাকার জন্য এক নারীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এতে মামলা হলে এই মামলায় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এর আগে, গত ৬ আগস্ট দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। আজ সোমবার সকালে র‍্যাবের কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার এম এম সবুজ রানা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। রোববার (১৩ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ৬ আগস্ট দুপুরে আলম দাদনের টাকার জন্য বিলকিসকে রাস্তায় প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে বিষয়টি ফেসবুকে ভাইরাল হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মাসুম বাদী হয়ে করিমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার পর এক নম্বর এজাহারনামীয় আসামি সুজন মিয়াকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

কিন্তু দুই নম্বর আসামি আলম গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে যান। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি করিমগঞ্জ উপজেলা গুনধর ইউনিয়নের ইন্দাচুল্লি গ্রামের মৃত মশ্রব আলীর ছেলে মো. নুর আলমকে (২৮)। তিনি গুনধর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।

নিহত ব্যক্তির নাম বিলকিস বেগম (৪০)। তিনি ইটখোলার শ্রমিক ছিলেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব জানিয়েছে, রোববার বিকেলে নুর আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাকে করিমগঞ্জ থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

উল্লেখ্য, বিলকিসসহ তার পরিবারের সবাই চট্টগ্রামে ইটখোলায় কাজ করতেন। বর্ষাকালে ইটখোলা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবারটি সম্প্রতি এলাকায় ফিরে আসে। আলম ও তার ভাই সুজন মিয়া বিভিন্ন ইটখোলায় শ্রমিক সরবরাহ করে। কিন্তু বিলকিসের স্বামী আব্দুল করিম গত বছর সুজনের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা দাদন নিয়ে ছিল। এরমধ্যে ২০ হাজার টাকা বিলকিস পরিশোধ করেন। বাকি ৬০ হাজার টাকা তারা পরিশোধ করতে পারছিলেন না। এ টাকার জন্য গত রোববার (৬ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে নুর আলম বিলকিসের বাড়িতে যান। তখন বিলকিসের স্বামী আব্দুল করিম বাড়িতে ছিলেন না। পাওনা টাকা নিয়ে বিলকিসের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় আলমের। একপর্যায়ে আলম ক্ষিপ্ত হয়ে বিলকিসকে টেনে-হিঁচড়ে ঘর থেকে বাড়ির সামনের পাকা রাস্তায় নিয়ে যান। পরে সেখানে আলম লাঠি দিয়ে বিলকিসকে মারধর করে। তবে আলম প্রভাবশালী হওয়ায় বিলকিসকে রক্ষা করতে কেউ এগিয়ে যাননি।

আমাদেরকাগজ/এমটি