??????? ১৬ আগস্ট, ২০২৩ ১০:৩৯

সাঈদীকে চিকিৎসা দেওয়া সেই  ডাক্তারকে হত্যার হুমকি

ছবিঃ ইন্টারনেট

ছবিঃ ইন্টারনেট

আমাদের কাগজ ডেস্ক: জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে চিকিৎসা দেওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামানকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এর আগে, গত ১৩ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সাঈদী অসুস্থ অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হন। পরে হৃদরোগ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক চৌধুরী মেশকাত আহমেদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৪ আগস্ট রাত ৮টা ৪০ মিনিটে তিনি মারা যান।

এ দিকে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে চিকিৎসা দেওয়া সেই  চিকিৎসক মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) রাতে রাজধানীর ধানমণ্ডি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তিনি

জিডিতে অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান উল্লেখ করেন, সাঈদীকে অসুস্থ অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি ও আনা হয়। হৃদরোগ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক চৌধুরী মেশকাত আহমেদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৪ আগস্ট রাত ৮টা ৪০ মিনিটে তিনি মারা যান। সেই চিকিৎসক দলের একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে ছিলাম আমি।

তিনি বলেন, কতিপয় ব্যক্তি সামাজিক মাধ্যম এবং ইউটিউবে বিভিন্ন আইডি থেকে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। ফেসবুক, মেসেঞ্জারে বিভিন্ন গ্রুপের পাশাপাশি আমার ব্যক্তিগত আইডিতে ভয়-ভীতি এবং প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। আমি এসব ব্যক্তিদের এ ধরনের আচরণে ভীত, শঙ্কিত। তাদের অনুসারীরা যেকোনো সময় আমার এবং আমার পরিবারের সদস্যদের খুন, জখনসহ বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে।

ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম বলেন, চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামানের সাধারণ ডায়েরি গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে ২০১০ সালের ২৯ জুন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী গ্রেপ্তার হন। পরে ২ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি হত্যা, লুটপাট, ধর্মান্তরিত করানোসহ বিভিন্ন অপরাধে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে তিনি আপিল করলে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগ মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রদান করেন। ওই আদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করলে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ২০১৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন। সেই থেকে তিনি কাশিমপুর কারাগারে বন্দি ছিলেন।

আমাদেরকাগজ/এমটি