??????? ২০ আগস্ট, ২০২৩ ০৫:৩১

৭ কোটি টাকার সেতুতে উঠতে ভরসা বাঁশের মই

ছবি - সংগৃহীত

ছবি - সংগৃহীত

আমাদের কাগজ ডেস্কঃ ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি সেতু। দুই পাশের সংযোগ সড়ক না হওয়ায় মই বেয়ে প্রতিদিন ঝুঁকিপূর্ণভাবে সেতুটি পারাপার হচ্ছেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর দাবি, নির্মাণের পর প্রায় ৮ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে উল্লাপাড়ায় বিল সূর্য নদীর উপর নির্মাণাধীন সেতুর সংযোগ সড়কের কাজ। 

এ ব্যাপারে এলজিইডির উল্লাপাড়া অফিস প্রধান উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবু সায়েদ জানান, বাড়ইয়া সেতু নির্মাণ প্রকল্পের প্রায় ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়ে গেছে। জানা যায়, উল্লাপাড়া-কামারখন্দ আঞ্চলিক সড়কে উল্লাপাড়া পৌর সভার বাড়ইয়া মহল্লায় ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি সেতুটি নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। ভূমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় ৯৪ ফুট লম্বা। সেতুটির মূল কাজ ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে শেষ হয়েছে। 

নিয়ম অনুযায়ী, জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা থেকে জরিপের পর প্রয়োজনীয় জমির মূল্য নির্ধারণ করে অনুমোদন দেয়া হলে সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়ে থাকে। উল্লাপাড়া এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, যথাসময়ে ওই সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়কের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে ভূমি অধিগ্রহণের আবেদন জানানো হয়েছে।  


স্থানীয়রা জানান, স্বাধীনতার পর থেকে তারা বাড়ইয়ায় বিল সূর্য নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে এসেছেন। উল্লাপাড়ার বর্তমান সংসদ সদস্য তানভীর ইমামের প্রচেষ্টায় অবশেষে এলজিইডি এখানে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে গেলেও দুই পাশের সংযোগ সড়ক তৈরি না হওয়ায় নদী পারাপারে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। সংযোগ সড়কের কাজ শেষ না হওয়ায় সেতুর উভয় প্রান্তে বাঁশের মই বানিয়ে ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হচ্ছেন তারা। অবিলম্বে সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণের দাবি জানান স্থানীয়রা।

এলজিইডির উল্লাপাড়া অফিস প্রধান উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবু সায়েদ আরও বলেন, এখন সংযোগ সড়কের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের লক্ষ্যে যথাসময়ে জেলা প্রশাসকের অফিসে আবেদন জানানো হয়েছে। সেখান থেকে ভূমি জরিপের কাজও শেষ হয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণের নিয়ম অনুযায়ী ৭ ধারা পর্যন্ত কাজ শেষ হয়ে গেছে। এখন ৮ ধারা (স্থানীয় দর নির্ধারণ) সম্পন্নের প্রক্রিয়া চলছে। জেলা প্রশাসকের অনুমোদন পেলে দ্রুত সেতুর বাকি কাজ শুরু হবে।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা জানান, তিনি বর্তমানে প্রশিক্ষণে আছেন। ওই সেতুর বিষয়ে তিনি ভালোভাবে অবহিত নন। প্রশিক্ষণ শেষে  ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এ ব্যাপারে পরবর্তী কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়নে ব্যবস্থা নেবেন। 

আমাদেরকাগজ/এমটি