??????? ২০ আগস্ট, ২০২৩ ০৬:৩২

১৫ ও ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের নায়ক জিয়া: এস এম কামাল

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেছেনন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতীয় আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীদের ক্রীড়ানক আওয়ামী লীগের মধ্যে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকা খুনি খন্দকার মোশতাক গং ও সেনাবাহিনীর মধ্যে পাকিস্তানের এজেন্ট জিয়াউর রহমান এর পৃষ্ঠপোষকতায় সামরিক বাহিনীর কতিপয় উচ্চাভিলাসী অফিসার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও তার সারা জীবনের সাহস অনুপ্রেরণা ও শক্তি বেগম মুজিবসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে মোস্তাক জিয়া চক্র বাংলাদেশকে পাকিস্তানের ধারায় ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল।

আজ ১৫ আগস্টের সকল শহীদদের স্মরণে নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে্এ কথা বলেন তিনি।

জিয়া রাতের অন্ধকারে বন্দুক ঠেকিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করে। বাংলাদেশের সংবিধানকে বুটের তলায় পৃষ্ঠ করে এবং স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকারদের গাড়িতে পতাকা তুলে দেয়। শুধু তাই নয় জিয়াউর রহমান তার ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য সেনাবাহিনীর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শত শত অফিসার ও জওয়ানদের হত্যা করে। আওয়ামী লীগ সহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের প্রায় সাড়ে চার লাখ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে গুম করে।

তিনি বলেন, রাত দশটা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত কারফিউ দিয়ে কারফিউ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে। বিমান বাহিনীর ৫৫১ জন অফিসার কে হত্যা করে। বাংলাদেশকে তালেবান রাষ্ট্রে পরিণত করে। মানুষের ভোটের অধিকার কে হরণ করে। এবং ৭৯ এর সংসদে জিয়ার নির্দেশেই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হবে না শিশু হত্যার বিচার হবে না নারী হত্যার বিচার হবে না এই জংলি আইন পাস করে। খুনিদের দায় মুক্তি দেয় এবং রাজনৈতিকভাবে ও সরকারি ভাবে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুনর্বাসিত করে।

জিয়ার পথ ধরেই খালেদা জিয়া বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদের দেশ, দুর্নীতিবাজদের দেশ, খুনিদের দেশ ও অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে। খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে স্বাধীনতার পতাকা তুলে দেন বলেও জানান তিনি।

এস এম কামাল বলেন, খালেদা নিজামীর আমলেই তারেক জিয়া ছায়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে হাওয়া ভবনে বসে বাংলাদেশের জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষকতা করে, অস্ত্র চোরাচালানের দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে ব্যবহার করে। তারেক জিয়ার পৃষ্ঠপোষকতায় বিএনপির আট জন মন্ত্রী এমপি বাংলা ভাইকে সব ধরনের সহযোগিতা করে। খালেদা নিজামীর আমলেই বাংলাদেশে কৃষককে বিদ্যুৎ দিতে না পেরে গুলি করে হত্যা করা হয়, মসজিদের নামাজ পড়া অবস্থায় কৃষকলীক নেতা আজমকে হত্যা করে, গোটা বাংলাদেশ খুনের দেশে পরিণত হয়। দ্রব্যমূল্যের দাম বারবার বৃদ্ধি করে হাওয়া ভবন সিন্ডিকেট তৈরি করে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে। তারেক জিয়াই হাওয়া ভবনে বসে ২০০৪ সালের ২১ শে আগস্ট আজকের প্রধানমন্ত্রী সেদিনকার বিরোধী দলের নেত্রী গণতন্ত্রের মানস কন্যা জননেত্রী  দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য ৭৫ এর খুনি ও একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে বৈঠক করে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে গ্রেনেড নিক্ষেপ করে শেখ হাসিনাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে।

সেই ৭৫ এর খুনিদের প্রতিনিধি একুশে আগস্ট এর গ্রেনেড হামলাকারীদের পৃষ্ঠপোষক তারেক জিয়া যে দশ ট্রাক অস্ত্র চোরা চালান মামলার আসামি, মানি লন্ডারিং মামলার আসামি দূর্নীতিতে সাজা প্রাপ্ত, হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পালিয়ে গিয়ে লন্ডনে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন দেশের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলে যোগ করেন তিনি। 

আমাদেরকাগজ/এইচএম