সারাদেশ ৩১ আগস্ট, ২০২৩ ১১:৫১

চালু হতে যাচ্ছে দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে 

ছবি - সংগৃহীত

ছবি - সংগৃহীত

আমাদের কাগজ ডেস্ক: অপেক্ষের দিন ফুরাচ্ছে রাজধানীবাসীর। দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালুর মাধ্যমে বাধাহীন যাত্রাপথ মিলবে সবার। বাঁচবে সময়ও। এদিকে নির্ধারিত সময়ের ৯ বছর পর আগামী শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) আংশিকভাবে চালু হতে যাচ্ছে গতিময় এই সড়ক। আপাতত, ২০ কিলোমিটারের মধ্যে খুলে দেওয়া হবে ১২ কিলোমিটার।

প্রকল্পটির বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা, যার মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে ২ হাজার ৪১৩ কোটি টাকা।

বিমানবন্দরের কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশের কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। উদ্বোধন উপলক্ষে এখন চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অংশের উদ্বোধন করবেন বলে ১৪ আগস্ট জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার বিমানবন্দর প্রান্তে উদ্বোধনের পর ফার্মগেট পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেবেন। পরে আগারগাঁওয়ে আয়োজিত সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেবেন তিনি। পরের দিন রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা থেকে সর্বসাধারণ এতে চলাচল করতে পারবেন।

সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আগামী শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফলক উন্মোচন করবেন। এরপর টোল দিয়ে পুরাতন বাণিজ্যমেলার মাঠে যাবেন তিনি। যেখানে সুধী সমাবেশে দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে বক্তব্য দেবেন। পরদিন ভোর ৬টা থেকে এ পথ সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট যেতে কাওলা, কুড়িল আর গলফ ক্লাবে ওঠার ব্যবস্থা থাকবে। একদিকে নামা যাবে বনানী ও মহাখালী আর ফার্মগেটে। অন্যদিকে, তেজগাঁও থেকে বিমানবন্দর যেতে বিজয় সরণি ওভারপাসের দুই প্রান্ত আর বনানী থেকে থাকবে ওঠার ব্যবস্থা। নামা যাবে মহাখালী, বনানী, কুড়িল ও বিমানবন্দর এলাকায়।

জানা গেছে, কাওলা থেকে কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী এলাকা পর্যন্ত যাবে। প্রকল্পটি পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে ঢাকার যানজট অনেকটা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শহরের ভেতরে র‌্যাম্প (সংযোগ সড়ক) নামানোর কারণে উড়াল সড়কটি নগরীর যানজট বাড়িয়ে দিতে পারে।

এক্সপ্রেসওয়েটি তৈরি হচ্ছে সরকারের সেতু বিভাগের তত্ত্বাবধানে। মূল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। প্রকল্পে ওঠা-নামার জন্য মোট ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩১টি র‍্যাম্প রয়েছে। র‍্যাম্পসহ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।

প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতি হবে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। থ্রি-হুইলার, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল ও পথচারী চলাচল করতে পারবে না।

আমাদেরকাগজ /এমটি