আন্তর্জাতিক ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১১:৩৯

ইউরোপীয় পার্লামেন্টে : বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ

আমাদের কাগজ ডেস্ক : বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতিতে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্ট।  ফ্রান্সের স্ত্রাসবুর্গে স্থানীয় সময় গতকাল (বুধবার) রাতে প্রস্তাবটি নিয়ে পার্লামেন্ট অধিবেশনের বিতর্কে ছয় সদস্য অংশ নেন।

এসময় ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এক যৌথ প্রস্তাবে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতিতে গভীর উদ্বেগ জানানো হয়েছে। প্রস্তাবে নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার চর্চার বিষয়ে আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুসরণের আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, মানবাধিকারকর্মী ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের কাজের নিরাপদ ও অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করার বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে।

জানা যায়, এসময় এদিন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মধ্য ডানপন্থী, সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট, বামপন্থীসহ সাতটি গ্রুপ এই প্রস্তাব এনেছে।

এতে বলা হয়, প্রস্তাবে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও বাংলাদেশে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে বল প্রয়োগের কারণে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ২০২৪ সালে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিশেষ করে অধিকারের মামলা’ শীর্ষক প্রস্তাবের ওপর স্ত্রাসবুর্গের স্থানীয় সময় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ভোটাভুটি হওয়ার কথা।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বিচারবহির্ভূত হত্যা, বলপূর্বক অন্তর্ধান বা গুম, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও শ্রমিকদের অধিকার খর্ব করাসহ বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ওই প্রস্তাবে মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অবিলম্বে নিঃশর্তভাবে প্রত্যাহার এবং সংগঠনটির নিবন্ধন পুনরায় চালু করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। 

নাগরিক সমাজের সংগঠনগুলো যেন অনুমোদিত বিদেশি অনুদান কাজে লাগাতে পারে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সরকারকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এর আগে সম্প্রতি বেশ কিছু দেশকে নিয়ে জরিপ করেছে ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশন নামের যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা। 

এতে বাংলাদেশসহ ৩০টি দেশের ৩৬ হাজার ৩৪৪ জনের অংশগ্রহণে জরিপটি করা হয়েছে। প্রতিটি দেশে গড়ে ১ হাজার জন জরিপে অংশ নেন। 

এই জরিপে উঠে আসে, বাংলাদেশের মানুষ গণতান্ত্রিক শাসনের পক্ষে। জনগণ নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার চান। মানবাধিকারকে বিশ্বের কল্যাণের জন্য একটি বড় শক্তি হিসেবে মনে করেন এ দেশের বেশির ভাগ নাগরিক।  

আমাদেরকাগজ/এমটি