??????? ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১০:৩২

সুনামগঞ্জ-২ আসনে মনোনয়ন চান আজহার চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪দলীয় জোটের শরিক দল বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ ও ১৪দলীয় জোটের কেন্দ্রীয় নেতা আজহার চৌধুরী সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনে ১৪দলীয় জোট থেকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে অত্যন্ত আশাবাদী। এজন্য তিনি এলাকায় বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কর্মকাণ্ডসহ ব্যাপক গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। 

আজহার চৌধুরীকে বাবু সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের মৃত্যুর পর ২০১৭ সালের উপর নির্বাচনে ১৪দলীয় জোটের সভায় বাসদের পক্ষ থেকে প্রার্থিতা চাওয়া হয়েছিল। ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনেও তিনি দিরাই-শাল্লা আসনে ১৪দলীয় জোটের পক্ষ থেকে বাসদের একজন শক্তিশালী প্রার্থী ছিলেন। 

এবার তিনি ১৪ দলীয় জোট থেকে মনোনয়ন প্রাপ্তির দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন। 

জনাব আজহার চৌধুরী সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের সভ্রান্ত মুসলিম পরিবার ভাটিপাড়া জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। 

তিনি একটি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। তার দাদা মাওলানা গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী কলকাতার আলিয়া মাদ্রাসা থেকে দুইটি বিষয়ে ডিষ্টিংশনসহ গোল্ড মেডেল নিয়ে টাইটেল পাস করেন। আরবি সাহিত্যে অসামান্য ব্যুৎপত্তির জন্য তিনি ব্রোন্জ মেডেলও লাভ করেন।

আজহার চৌধুরীর দাদার বড় ভাই খান বাহাদুর গোলাম মোস্তফা চৌধুরী ১৯২৬ থেকে ১৯৩৬ সাল পর্যন্ত পর পর দুই মেয়াদে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের আপার পার্লামেন্ট দিল্লির "কাউন্সিলে অফ স্টেট" এ আসাম অঞ্চল থেকে একমাত্র মুসলমান প্রার্থী হিসেবে সর্বকনিষ্ঠ "এমএনসি" বা মেম্বার অফ ন্যাশনাল কাউন্সিল হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৩৭ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত তৎকালীন আসাম প্রভিন্সিয়াল কাউন্সিলে পর পর দুই মেয়াদে আবারও এমএলএ হিসাবে নির্বাচিত হন।

সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলা এবং জামালগড় মৌজা তার পূর্বপুরুষ জামাল মোহাম্মদ এবং কামালগড় মৌজা কামাল মোহাম্মদের নামে নামকরণকৃত হয়। 

উল্লেখ্য, ছাতক সিমেন্ট কোম্পানির বেশিরভাগ জায়গা তাদের পরিবারের দানকৃত জমির উপর গড়ে উঠেছে।

১৯৮৩ সালে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী মদনমোহন কলেজে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই বাসদের ছাত্র রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। পর্যায়ক্রমে তিনি মদনমোহন কলেজ ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, সাধারণ সম্পাদক, সভাপতি এবং পরবর্তীতে জেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক, সংগঠনিক সম্পাদক, সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

একইসঙ্গে তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে মূল দলের "কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি"র সদস্য এবং বর্তমানে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে পার্টির সংগঠনিক বিকাশে ব্যাপক ভূমিকা রাখছেন। 

তিনি এলাকায় শীতবস্ত্র বিতরণ, ২০২২ সালের বন্যায় দিরাই ও শাল্লা উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি ইউনিয়নের মানুষদের মধ্যে গৃহনির্মাণ সামগ্রী (টিন) বিতরণ করেন। এছাড়াও এলাকার বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সহযোগিতা, এলাকার গরিব অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসা ব্যায় নির্বাহে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। 

তিনি ঢাকায় অবস্থানরত দিরাই উপজেলাবাসীর সংগঠন "দিরাই এসোসিয়েশন ঢাকা"র পর পর দুইবারের নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে কৃতিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি আন্তর্জাতিক চ্যারিটি সংস্থা "টাইগার্স ইন্টারন্যাশনাল এসোসিয়েশন" বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের পরিচালক হিসেবেও বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে নিজেকে জড়িত করেছেন।


আমাদেরকাগজ/এইচএম