সারাদেশ ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০৪:০৯

আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা নিহত

আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কালে তোলা ছবি

আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কালে তোলা ছবি

আমাদের কাগজ ডেস্ক : কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে এতে একজন নিহতসহ ১০ জন আহতের ঘটনা ঘটেছে। এর আগে দুই দিন ধরেই ওই এলাকায় থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছিল বলে জানা গিয়েছে। 

যার প্রধান কারণ হিসেবে জানা যায়, ব্যবসায়িক আধিপত্য বিস্তার। এর আগে একই দিন (সোমবার ) সকালে উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

এতে নিহত বেক্তি হলেন চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবিরের ছোট ভাই ও নলডাঙা গ্রামের মো. আব্বাসের ছেলে নিজাম সরকার (৪০)। তিনি চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি।

আহতরা হলেন- স্থানীয় টিটু (৩০), রমজান (৩৫), ইব্রাহীম (২৮), শাকিল (২২), খালেদ হাসান (১৯), দেলোয়ার (৩২), আনিছ সরকার (২৫), সুমন (২৪), হানিফ (৪৫) ও ওয়াসিম (৩৫)।

জানা গেছে, দফায় দফায় চলে আসছিল সংঘর্ষ। এ সময় দুই গ্রুপের লোকেরাই টেঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে কমপক্ষে অন্তত ১০ জন আহত ও একজন নিহত হন।

এদিকে এই ঘটনায় অস্ত্র প্রদর্শনের কারণ দেখিয়ে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে। পুলিশ জানায়, গত দুই দিনের জের ধরে (সোমবার) ও স্থানীয় সানাউল্লাহ গ্রুপ ও কাইয়ুম গ্রুপ আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। 

স্থানীয় একাধিক সূত্র বলছে, সানাউল্লাহ গ্রুপ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির সমর্থিত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের একটি অংশ। অপর দিকে জেলা পরিষদ সদস্য কাইয়ুম হোসেনের নেতৃত্বে আছে আওয়ামী লীগের আরেকটি অংশ। যা কাইয়ুম গ্রুপ নামে স্থানীয়ভাবে পরিচিত।

মেঘনা থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন বলেন, গত 


দুই দিন ধরে চলে আসছিল সহিংসতার এই ঘটনা। এরপর আজ (সোমবার) একাধিক বার দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলছিল। গতকাল একটা মামলা করেছি। আমাদের গ্রেফতার তৎপরতা চলছিল। আজ সকালে আবার সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত হয়েছেন। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

আমাদেরকাগজ/এমটি