রাজনীতি ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০৪:০৪

তৃণমূলে রদবদল, চেয়ারপারসন সমশের মবিন, মহাসচিব তৈমুর আলম

শমসের মবিন চৌধুরী ও তৈমূর আলম খন্দকার

শমসের মবিন চৌধুরী ও তৈমূর আলম খন্দকার

আমাদের কাগজ ডেস্ক : তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান করেই দলটির শীর্ষ নেতৃত্বে চলে এলেন বিএনপির সাবেক দুই নেতা শমসের মবিন চৌধুরী ও তৈমূর আলম খন্দকার। সমশের মবিন চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার তৃণমূল বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়া তৃণমূল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার মেয়ে অ্যাডভোকেট অন্তরা সেলিমা হুদা দলের নির্বাহী চেয়ারপারসন নির্বাচিত হয়েছেন।

আজ (মঙ্গলবার) জাতীয় সম্মেলন ও কাউন্সিলে তৃণমূল বিএনপির ২৭ সদস্যের আংশিক কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়।

কমিটিতে কে এম জাহাঙ্গীর মজমাদারকে কো-চেয়ারপারসন এবং মেজর হাবিবুর রহমান, মোখলেছুর রহমান ফরহাদী, দীপক কুমার পালিত, মেনোয়াল সরকার ও সালাম মাহমুদকে ভাইস-চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হয়েছেন।

এ ছাড়া মো. আক্কাস আলী খানকে দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব এবং অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম, অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান, ফয়েজ চৌধুরী, তালুকদার জহিরুল হক ও রোকসানা আমিন সুরমাকে জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল নির্বাচিত হয়েছেন।

এদিকে সাবেক কূটনীতিক শমসের মবিন একসময় বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। আর বহিষ্কৃত তৈমূর আলম খন্দকার ছিলেন দলটির চেয়ারপারসের সাবেক উপদেষ্টা।

২০১৫ সালে শমসের মবিন চৌধুরী বিএনপি থেকে পদত্যাগের পর ২০১৮ সালে বিকল্পধারায় যোগ দেন। নির্বাচনের আগে বিকল্পধারা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক হিসেবে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেয়। ওই সময় জোটের মনোনয়ন না পেয়ে সিলেট-৬ আসনে বিকল্পধারার কুলা প্রতীকে নির্বাচনের মাঠে নামলেও পরে নির্বাচন থেকে সরে গিয়ে মহাজোটের প্রার্থীকে সমর্থন জানান শমসের মবিন।

তৈমূর আলম খন্দকার ১৯৯৬ সালে বিএনপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে সক্রিয় ছিলেন। এ জন্য মামলা-হামলার শিকার, এমনকি জেলেও থাকতে হয়েছে তাকে। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ার কারণে দেড় বছর আগে দল থেকে বহিষ্কার হন তৈমূর। এরপরেও তিনি বিএনপির কর্মসূচিতে সক্রিয় ছিলেন। বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য লিখিত আবেদনও করেন। কিন্তু তাতে সাড়া দেয়নি তার সাবেক দল।

আমাদেরকাগজ/এমটি