নিজস্ব প্রতিবেদক: এলিট ফোর্স র্যাবের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার নেপথ্যে আর্থিক লেনদের অভিযোগ উঠেছিল শুরু থেকেই। এবার এর সত্যতা মিলতে শুরু করেছে এক মার্কিন সিনেটরের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উঠার মধ্যদিয়ে। ঘুষ গ্রহণের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন আমেরিকার সিনেটর বব মেনেনডেজ ও তার স্ত্রী নাদিন। বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে মার্কিন প্রশাসনকে এই মেনেনডেজই আহ্বান জানিয়েছিলেন। ম্যানহাটনে অবস্থিত দেশটির অ্যাটর্নির কার্যালয় থেকে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বলা হয়, মেনেনডেজ মিসর সরকারকে স্পর্শকাতর তথ্য সরবরাহ করেছিলেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, আমেরিকার ম্যানহাটনে অবস্থিত দেশটির অ্যাটর্নির কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ-পত্রও প্রকাশ করা হয়েছে। যাতে বলা হয়, নিউজার্সির তিনজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে শত শত কোটি ডলার ঘুষ নিয়েছেন সিনেটর বব মেনেনডেজ ও তার স্ত্রী নাদিন। সরাসরি ডলার নেয়ার পাশাপাশি সোনা, বাড়ির লোন, চাকরি সুবিধা, দামি গাড়ি ও আরো অনেক জিনিস পেয়েছেন মেনেনডেজ দম্পতি।
এই সিনেটরের বাসভবন থেকে বিপুল সংখ্যক সোনার বার এবং শত শত কোটি ডলার নগদ উদ্ধার করেছে ফেডারেল প্রসিকিউটরেরা। এসব সোনার দাম ২ লাখ ডলার। মেনেনডেজ এবং তার স্ত্রীর নামে তিনটি ফৌজদারি মামলা হয়েছে। এগুলো হলো ঘুষ দেয়ার ষড়যন্ত্র, পরিষেবা জালিয়াতির ষড়যন্ত্র এবং সরকারী অধিকারের নাম নিয়ে চাঁদাবাজি করার ষড়যন্ত্র। তবে এসব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন মেনেনডেজ।
তিনি বলেন, এগুলো আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক প্রচারণা’। মেনেনডেজ মার্কিন সিনেটের ফরেইন রিলেশন কমিটির ডেমোক্র্যাট দলীয় সদস্য। বাংলাদেশের র্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য তিন বছর আগে তিনি বেশ কয়েকজন সহকর্মীকে নিয়ে তৎকালীন ট্রাম্প প্রশাসনকে আহ্বান জানিয়েছিলেন। তখন থেকেই মেনেনডেজ বাংলাদেশে পরিচিত।
আমাদেরকাগজ/এইচএম