সারাদেশ ২ অক্টোবর, ২০২৩ ১২:৪৩

মাদারীপুরে আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু-প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুরের অভিযোগ

আমাদের কাগজ ডেস্ক : মাদারীপুর আওয়ামী লীগের এক দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এসময় এক আওয়ামী নেতা বিরুদ্ধে এই গুরুতর অভিযোগ আনা হয়। তার নাম,সোহরাব খালাসী (৪৫)। মূলত আরেকজনকে ফাঁসাতে এক ঘটনা ঘটান তিনি। রাজৈর থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

ই ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত শনিবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে, মাদারীপুরের রাজৈরে এই ঘটনা ঘটে। 

অভিযুক্ত (সোহরাব) রাজৈর উপজেলার বদরপাশা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি পদে রয়েছেন।  

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত শুক্রবার বদরপাশা ইউনিয়নের রাজারবাজার এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয় ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিও ভাঙচুর করে। এ ঘটনার পর ওই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে এ বিষয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজারবাজার এলাকার আবদুস সালাম খালাসী নামে একজন বাদী হয়ে আওয়ামী লীগ নেতা সোহরাব খালাসীসহ অজ্ঞাত আরও ৩ থেকে ৪ জনকে অভিযুক্ত করে রাজৈর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।  

একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতা সোহরাব খালাসী ও মামলার বাদী সালাম খালাসীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় আনে পুলিশ। বদরপাশা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়।  

প্রাথমিক তদন্ত ও দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, সম্প্রতি সালাম খালাসী বাদী হয়ে সোহরাব খালাসীর বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনারের একটি মামলা দেন। এই জেরে (বৃহস্পতিবার) দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। 

জানা যায়, সালাম খালাসীকে ফাঁসানোর জন্য সোহরাব খালাসী নিজেই আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর করে সালাম খালাসীকে অভিযুক্ত করেন। পরে পুলিশ সোহরাব খালাসীকে (শুক্রবার) রাতে গ্রেপ্তার দেখায়। পরে (শনিবার) তাকে আদালতে হাজির করলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।  

মামলার বাদী সালাম খালাসী বলেন, আমাকে দলীয়ভাবে হয়রানি করতে সোহরাব নিজেই আওয়ামী লীগের কার্যালয় লোকজন নিয়ে ভাঙচুর করে। সোহরাব চেয়েছিল পুলিশ দিয়ে আমাকে গ্রেপ্তার করাতে। কিন্তু ভাঙচুরের প্রমাণ ভিডিওসহ আমরা পুলিশের কাছে দিলে সোহরাব নিজেই তার অপকর্মে ফেঁসে যান। 

রাজৈর থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন বলেন, দুই ব্যক্তির মধ্যে দ্বন্দ্ব থেকে আওয়ামী লীগের অফিস, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী ছবি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। আমরা মূল অপরাধীকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করেছি। এ ঘটনায় মূল আসামির সঙ্গে আরও যারা ছিলেন তাদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।

আমাদেরকাগজ/এমটি