আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। আজ রবিবার ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা এ ঘোষণা দেয়। এর মাধ্যমে দেশটির সরকার গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের বরাত দিয়ে সিএনএন ও আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নেতানিয়াহুর প্রেস অফিস বলেছে, ইসরায়েলের মৌলিক আইনের অনুচ্ছেদ ৪০ অনুসারে যুদ্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, গাজা থেকে সন্ত্রাসী হামলার মাধ্যমে ইসরায়েলের ওপর এ যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গত শনিবার থেকে শুরু করা হামাসের অতর্কিত হামলায় ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা ৬০০ ছাড়িয়েছে। শনিবার ভোরে গাজা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে পাঁচ হাজার রকেট ছোড়ার দাবি করেছে হামাস। রবিবার সকাল পর্যন্ত হামাস ইসরায়েলের জেরুজালেম এবং তেল আবিব পর্যন্ত একের পর এক রকেট নিক্ষেপ করে। সেইসঙ্গে ফিলিস্তিনি ওই যোদ্ধারা সমুদ্র, স্থল এবং আকাশপথে দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে।
বিবিসি বলছে, হামাস যোদ্ধারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ইসরায়েলি শহর ও সেনা ঘাঁটিগুলো ঘেরাও করে আক্রমণ করে এবং বহু মানুষকে হত্যা করে। এছাড়া তারা অজ্ঞাত সংখ্যক ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিক ও সৈন্যদের গাজায় জিম্মি করে রাখার জন্য আটক করে নিয়ে যায়।
হামাস চ্যানেলে শেয়ার করা ফুটেজে দেখা গেছে, সশস্ত্র যোদ্ধারা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ঘাঁটি এবং একটি সাঁজোয়া যানে থাকা সৈন্যদের বন্দী করছে এবং হত্যা করছে।
হামাসের হামলার জবাবে পাল্টা আক্রমণ চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলের ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) বলছে, গাজা ও দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলায় ৪০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এখনো তাদের ভূখণ্ডের সাতটি জায়গায় হামাসের সঙ্গে লড়াই চলছে। দেশটির সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেছেন, ইসরায়েল এখনো যুদ্ধের মধ্যে।
আমাদেরকাগজ/এইচএম