আন্তর্জাতিক ১১ অক্টোবর, ২০২৩ ১১:৪৮

ইসরায়েলকে অস্ত্র সহয়তা দিলো যুক্তরাষ্ট্র, আগেই সতর্ক করেছিল মিসর!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েলকে অস্ত্র সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এসময় একটি সাহায্যকারী বিমানে করে এসব মার্কিন সামরিক সরঞ্জাম দক্ষিণ ইসরায়েলের নেভাটিম বিমান ঘাঁটিতে পৌঁছেতে দেখা যায়। সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। এদিকে ইসরায়েলে বড় ধরনের কিছু ঘটতে যাচ্ছে বলে আগেই সতর্ক করেছিল মিসর। কিন্তু তাদের সতর্কবার্তা কর্ণ পাত করেনি বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার। 

এর ফলে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের আকস্মিক হামলার শিকার হয়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, হামাসের আকস্মিক হামলা যে কতটা বিস্তৃত ছিল, সেটি এখন ধীরে ধীরে প্রকাশ পাচ্ছে। এর সঙ্গে বাড়ছে ইসরায়েলিদের ক্ষোভ। অনেক ইসরায়েলি মনে করছেন, তারা নিজ সরকারের দ্বারাই ধোঁকার শিকার হয়েছেন। কারণ নেতানিয়াহুর সরকার একাধিকবার আশ্বস্ত করেছিল যে, হামলার কোনো হুমকি নেই।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, হামাস গত ৭ অক্টোবর হামলা চালানোর আগে— এ ব্যাপারে কিছু তথ্য জানতে পেরেছিল মিসর। এর ফলে তারা ইসরায়েলকে বলেছিল, ‘গাজায় বড় কোনো কিছু হতে পারে।’ কিন্তু নেতানিয়াহুর সরকার সেগুলো আমলে নেয়নি।

এর আগে, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপর ইসরায়েলও পাল্টা আক্রমণ করে। এরপর থেকে দুই পক্ষের সংঘাত চলছেই। চলমান এই সংঘাতে ইতোমধ্যে ৯ শতাধিক ফিলিস্তিনি এবং ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ।

ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর দুই শীর্ষ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। হামাসের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। নিহতরা হলেন, জাকারিয়া আবু মুয়াম্মার ও জাওয়াদ আবু শামাল।

এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তবে বিষয়টি তিনি অস্বীকার করলেও মিসরের দেওয়া ওই সতর্কতার আরও কিছু গোপন তথ্য ফাঁস হয়েছে। এর ফলে আরও বেশি ক্ষুব্ধ হয়েছেন ইসরায়েলিরা। তারা এখন নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছেন।

অন্যদিকে হামাস ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে বিপুল সংখ্যক ইসরায়েলিকে আটক করেছে বলে দাবি করছে। সংগঠনটি বলছে, ইসরায়েলের কারাগারে যত বন্দী রয়েছে তাদের সবাইকে ছাড়ানোর জন্য এটা যথেষ্ট।

আপাত দৃষ্টিতে খুব শিগগিরই হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার এই সংঘাত থামার আশঙ্কা নেই। কারণ হামাস জানিয়েছে, তারা তাদের অভিযান অব্যাহত রাখবে যতক্ষণ না পর্যন্ত স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন হয়। অন্যদিকে ইসরায়েলের পক্ষ থেকেও শক্তিশালী আক্রমণের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সূত্র : টাইমস অব ইসরায়েল

আমাদেরকাগজ(এমটি)