রাজনীতি ৮ নভেম্বর, ২০২৩ ০৯:৫৫

বিএনপি অবরোধ: মাঠে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ

নিজস্ব প্রতিবেদক 

বিএনপির ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের প্রতিবাদে সর্তক অবস্থানে মাঠে রয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সকাল ৯টা থেকে ১৯ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে মহানগরের নেতারা অবস্থান করছেন। তবে দলের সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে সকাল ৯টা পর্যন্ত কোনো নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি। 

 

এসময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান সিরাজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মিরাজ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির, আইন বিষয়ক সম্পাদক  অ্যাড. মোহাম্মদ জগলুল কবির, দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক চৌধুরী সাইফুন্নবী সাগর, সহ প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ। 

এছাড়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদও উপস্থিত ছিলেন। 

 

এদিকে সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি আদায়ে বিএনপির তৃতীয় দফায় দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। বুধবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়। যা চলবে শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত। 

 

দলটির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সমমনা অন্য বিরোধী দলগুলোও এ কর্মসূচি পালন করছে।

 

সোমবার (৬ নভেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে বলেন, এই কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করা হবে। আমাদের অবরোধ কর্মসূচি জনগণের দাবির ওপর ভিত্তি করে। এটা শুধু বিএনপির কর্মসূচি নয়। যারা দেশের মালিকানা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, তাদের সবার কর্মসূচি এটি।

 

গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে মাঝ পথেই পণ্ড হয় যায় বিএনপির সমাবেশ। সমাবেশ বানচালের প্রতিবাদে পরের দিন (২৯ অক্টোবর) সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা বিএনপি হরতাল পালন করে। এক দিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি দেওয়া হয়।

 

এরপর রোববার (৫ নভেম্বর) ভোর ৬টা থেকে ২ দিন  সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি অবরোধ কর্মসূচি পালন করে বিএনপি ও সমমান বিরোধী দলগুলো। এসব কর্মসূচি চলাকালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ দলের সিনিয়র নেতাদের গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আর গ্রেপ্তারের বাইরে থাকা নেতারা আত্মগোপনে রয়েছেন।