রাজনীতি ২১ নভেম্বর, ২০২৩ ০২:৪২

একজন মানুষ আরেকজন জীবিত মানুষকে কীভাবে পুড়িয়ে মারে, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

আমাদের কাগজ ডেস্ক: একাত্তর সালের ঘটনা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পাকিস্তানি বাহিনী বস্তিতে আগুন দিতো। মানুষ বের হলে গুলি করে মেরে ফেলতো। এরপর ২০১৩-১৪ সালে, আবার ইদানীং সেই অগ্নিসন্ত্রাস শুরু হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) ঢাকা সেনানিবাসে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা এবং ২০২২-২৩ সালে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ শান্তিকালীন পদক দেওয়ার অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অগ্নিসন্ত্রাস বা জ্বালাও-পোড়াও মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তোলে। আমি জানি না একটা মানুষ কীভাবে আরেকটা মানুষকে পুড়িয়ে মারে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ সেই পোড়া মানুষগুলো, তাদের পরিবার কী অবস্থায় আছে। এটা দুঃখজনক। এদের (অগ্নিসন্ত্রাসীদের) চেতনা হোক, সেটাই আমি চাই। অন্তত তাদের চেতনা ফিরে আসুক। মানুষকে পুড়িয়ে মেরে কোনো কিছু অর্জন করা যায় না। অর্জন করতে হলে জনগণের শক্তির দরকার হয়, জনগণের পাশে থাকতে হয়। জনগণের কল্যাণ করতে হয়। জনগণের অকল্যাণ করে, পুড়িয়ে মেরে কিছু অর্জন করা যায় না। 

অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। ২০২৬ সাল থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে অগ্রযাত্রা শুরু হবে। তার প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি। কিন্তু অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আমাদের আরও সচেতন হতে হবে। কেননা, নানা ধরনের চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র চলছে।’ 

এদিনে সকালে শেখ হাসিনা সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে পৌঁছালে পিএসও এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের মহাপরিচালকরা তাকে অভ্যর্থনা জানান।


প্রসঙ্গত,২৮ অক্টোবর, ২০২৩ বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতালের মধ্যে ঢাকার ডেমরায় দাঁড় করিয়ে রাখা একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে, তাতে প্রাণ গেছে ভেতরে ঘুমিয়ে থাকা চালকের সহকারীর। নিহত ওই তরুণের নাম নাঈম ওরফে নাজিম, বয়স ২০ বছর। তার সঙ্গে বাসে থাকা রবিউল নামে আরেক যুবক আগুন দগ্ধ হয়েছেন। 

আমাদেরকাগজ/এমটি